বহিরাগতদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের কিছু পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, যে কোনও সময়ে কলেজে ঢুকছে বহিরাগতেরা, অবাধে চলছে নেশা, কলেজ থেকে বেরোনোর সময়ে মেয়েদের উদ্দেশে কটূক্তি করা হচ্ছে। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে সরব হতে গিয়েই এ দিন গোলমাল হয়।
কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সুজয় রায় জানান, প্রতিবাদের জন্য পড়ুয়ারা কলেজের বাইরে জড়ো হলে বহিরাগতেরা তাঁদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। জখম হন পাঁচ পড়ুয়া। আর জি করে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের।
সুজয় জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কলেজে ঝামেলা চলছে। তাঁর অভিযোগ, কলেজের সাধারণ সম্পাদক রাজীব মিত্রের নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত প্রায়ই কলেজে ঢুকে নেশা করে। ঢোকা-বেরোনোর রাস্তায় নিরাপত্তা নেই। নেই কোনও ‘আই কার্ড’ও। অভিযোগ, এই নিরাপত্তাহীনতার সুযোগ নিয়েই এ দিন বহিরাগতেরা ঝামেলা করেছে। |
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জখম এক ছাত্রীকে। —নিজস্ব চিত্র। |
এ প্রসঙ্গে রাজীববাবু বলেন, “আমি এতে জড়িত নই। আমায় ফাঁসানো হচ্ছে। যারা অভিযোগ করছে, তারা নিজেরাই আমার সঙ্গে বিবাদ বাধাতে বাইরে থেকে হামলাকারীদের ডাকে। পুলিশ এলে বহিরাগতেরা বাইক নিয়ে পালায়।” তবে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নম্বর বাড়ানোর দাবিতে ঘেরাও। নম্বর বাড়ানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষকদের ঘেরাও করলেন পড়ুয়ারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য তা তুলে নেওয়া হয়। বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ারা জানান, তাঁদের দ্বিতীয় সেমেস্টারে লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে এই বছর প্রথম মৌখিক হল। এর জন্যই ফল খারাপ হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, গত বছরের থেকে এ বছর প্রথম শ্রেণি পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বিভাগের ২৬ জন ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাঁদের পাশের দাবিও তোলা হয়।
বাংলার বিভাগীয় প্রধান সুচরিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৩৭৩ জনের মধ্যে এ বার ১৩৭ জন প্রথম শ্রেণি পেয়েছেন। যা গত বছরের থেকে একটু কম। তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের তরফে মৌখিক তুলে নেওয়া ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি এসেছে। লিখিত ভাবে দাবি জানালে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।” তাঁর অবশ্য দাবি, মৌখিকে খারাপ নম্বর পেলেও কেউ অনুত্তীর্ণ হননি। শিক্ষকদের ঘেরাও করা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “ঘেরাও বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা এমন করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক রং না দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |