স্বনির্ভরতায় ছাগল বিলি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শালবনি |
ছাগল পেয়ে খুশি দক্ষিণাশোলের সুমতি সেন। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
প্রশাসনিক আধিকারিকেরা বাড়ি গিয়ে দিয়ে এলেন ছাগল। শালবনিতে সোমবার ৭ জনকে ছাগল দেওয়া হয়। এঁদেরই একজন দক্ষিণশোলের সুমতি সেন। স্বামী শরৎ সেন রাজমিস্ত্রি। দুই মেয়ে, এক ছেলেকে নিয়ে সংসার। এ দিন দুপুরে তাঁর বাড়িতে যান প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের ব্লক আধিকারিক অনুপ মণ্ডল, কর্মাধ্যক্ষ মিনু কয়োড়ি। ১০টি ছাগল পেয়ে খুশি সুমতিদেবী। তিনি বলেন, “অত্যন্ত কষ্টে সংসার চলে। ছাগল প্রতিপালন করে কিছু আয়ের চেষ্টা করব।” ব্লকের ২৮০ জন উপভোক্তা ১০টি করে ছাগল পাবেন। ইতিমধ্যে ১৬৩ জন প্রকল্পের সুবিধে পেয়েছেন।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম বিনয় হেমব্রম (৩৫)। বাড়ি মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার অন্তর্গত খাসজঙ্গলে। সোমবার বিকেলে কুইকোটার কাছে রাস্তা পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন ওই যুবক। গরু বোঝাই একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। লরির চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বেশ কিছুক্ষণ কুইকোটার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গরু বোঝাই লরিটি মেদিনীপুর থেকে কেরানিচটির দিকে যাচ্ছিল। ওই যুবক যখন রাস্তা পারাপার করছিলেন, তখনই লরিটি তাঁকে ধাক্কা মারে। স্থানীয়দের বক্তব্য, লরিটি দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। তারফলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। পরে পুলিশ লরিটির পিছু ধাওয়া করে। আনন্দপুরের কাছে গিয়ে লরিটিকে আটক করে। চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশ লরিটির পিছু ধাওয়া করায় চালক গতিবেগ আরও বাড়িয়ে দেন। ফলে, মেদিনীপুর থেকে আনন্দপুর যাওয়ার পথে লরির ধাক্কায় আরও কয়েকজন জখম হন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|