রাহুলও নন, মোদীও নন। এঁদের বিকল্প জোট গড়তে আবার সচেষ্ট হয়েছে সিপিএম। এবং সে জন্য বিকল্প নীতিও চাইছে তারা। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার দু’টি জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই নীতি গড়ার পক্ষেই সওয়াল করলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি।
ইয়েচুরি এ দিন যে কথা বলেছেন, তা প্রকাশ কারাটের তৃতীয় ফ্রন্টেরই নামান্তর। ২০০৯ সালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বারে আরও আটঘাট বেঁধে নামতে চাইছে সিপিএম। তাই সব ধর্মনিরপেক্ষ দলকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বামেরা। শুক্রবারই শহিদ মিনারের জনসভায় সে কথা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট থেকে শুরু করে সিপিআইয়ের এ বি বর্ধন, সকলেই। ইয়েচুরিও সে কথাই বলেন।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপি ও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিকল্প জোট গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই লক্ষ্যেই অন্যান্য আঞ্চলিক দলের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁর সোমবারের দিল্লি সফরের পিছনেও সেই উদ্দেশ্যই কাজ করছে বলে খবর। কিন্তু বামেদের বিকল্প জোট গঠনের প্রচেষ্টায় তৃণমূল ব্রাত্য। আবার মমতার বিকল্প জোটেও সিপিএম অচ্ছুৎ। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু ভোট ফিরে পেতে মরিয়া বাম নেতারা এখন বিজেপির সঙ্গে মমতার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
শহিদ মিনারের সমাবেশে কারাট-বর্ধন তো বটেই, তা ছাড়াও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত বিশ্বাস, আরএসপি-র ক্ষিতি গোস্বামী প্রত্যেকেই অভিযোগ করেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলায় তৃণমূল কড়া পদক্ষেপ না করে আগামী দিনে বিজেপি-র দিকে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখছে। লোকসভা ভোটে বামেদের প্রচারের অভিমুখও এটাই হবে বুঝিয়ে দিয়ে কারাট ওই সভায় বলেন, “তৃণমূল আগামী দিনে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলাতে পিছপা হবে না।”
|