|
|
|
|
তৃতীয় বিকল্প সরকারের ডাক বামের
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
লোকসভা নির্বাচনে অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি সরকার গড়তেই যে তাঁরা আগ্রহী তা স্পষ্ট করে দিলেন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার এবং সিটুর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তপন সেন। আজ আগরতলায় সারা ভারত বাগিচা শ্রমিক ফেডারেশনের নবম সর্বভারতীয় সম্মেলনের সমাবেশে মানিকবাবু বলেন, “দেশের শ্রমিক-কৃষক তথা মেহনতী মানুষের নির্বাচনী ‘এজেন্ডা’ প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, বিজেপির নরেন্দ্র মোদী, না কংগ্রেসের রাহুল গাঁধী, তা নয়। বরং ‘বিকল্প আর্থিক নীতি’ রূপায়ণে বাম-গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরেপেক্ষ রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি সরকার কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য।”
আগরতলার শকুন্তলা রোডের এই সমাবেশে সিআইটিইউ’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন ছাড়াও হাজির ছিলেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সিটু নেতারা। তপন সেন ইউপিএ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘কেন্দ্রের নয়া উদারনীতির ফলে শ্রমিকের মজুরি কমছে, বাড়ছে পুঁজিপতিদের মুনাফা।” আম্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটের জেরে দেশের পুঁজিপতিদের লাভের পরিমাণ কমেনি, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা ঠিক কিছু সংস্থা বন্ধ হয়েছে, কিন্তু অধিকাংশ ‘কর্পোরেট’ সংস্থার মুনাফা বেড়েই চলেছে।” অথচ আর্থিক মন্দার অজুহাতে শ্রমিকের অধিকার হরণ, মজুরি বৃদ্ধি না করা, কাজ থেকে ছাঁটাই, নিয়মিত শ্রমিকের বদলে বেশি করে অস্থায়ী শ্রমিকের উপর নির্ভর করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা, স্থায়ী শ্রমিককে ঠিকা শ্রমিকে পরিণত করা ইত্যাদি বেড়েই চলেছে। বাগিচা শিল্পেও একই চিত্র। আর্থিক সংকটের কথা বলে শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অথচ বাগিচা শিল্পেও মন্দার পরিবেশে চা-বাগান মালিকদের লাভের পরিমাণ বহু গুণ বেড়েছে। তপনবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় নীতির পরিবর্তন জরুরি।” মানিকবাবু বলেন, ‘‘দু’টি ইউপিএ সরকারের আমলে দেশে সাড়ে তিন লক্ষ চাষি আত্মহত্যা করেছে। বাজপেয়ীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার নয়া-উদার অর্থনীতির পরিবর্তন করেনি। ফলে বর্তমান কেন্দ্রীয় আর্থিক নীতির পরির্বতনের সম্ভাবনা নেই।” মানিকবাবু বলেন, ‘‘বাম-গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কেন্দ্রে বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে দেশের শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশার মুক্তি ঘটবে।’’ |
|
|
|
|
|