|
|
|
|
নবীনের সঙ্গে বৈঠকেও জোট নিয়ে বার্তা জগনের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাংলার পরে ওড়িশা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে নবীন পট্টনায়ক।
তেলঙ্গানা ভাগের বিরোধিতা করে রাজনৈতিক মত জোগাড়ে একের পর এক রাজ্যে ঘুরছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডি। চার দিন আগে দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। আজ বৈঠক করলেন পড়শি রাজ্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। যে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকারকে শুধু তেলঙ্গানায় আটকে না রেখে একে ফেডেরাল ফ্রন্ট গঠনের প্রক্রিয়া বলেই দেখতে চাইছেন রাজনীতির লোকজনদের একাংশ।
এ দিন ভুবনেশ্বরে নবীনের সঙ্গে বৈঠক করেন জগন। দুপুরে একান্তে ২৫ মিনিট কথা হয় দু’জনের। পরে সাংবাদিক বৈঠকে নবীন বলেন, “রাজ্য ভাগ স্পর্শকাতর, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং আবেগের বিষয়। অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষের মত নিয়ে এবং সর্বসম্মতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্য ভাগ কখনও রাজনৈতিক এবং ভোটের স্বার্থে করা উচিত নয়।” তাঁর মতে, তেলঙ্গানার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল রাজনৈতিক আলোচনার অভাব রয়েছে।
জগন জানান, সংবিধানের যে ধারায় নতুন রাজ্য গঠনের কথা বলা হয়েছে, সেই ৩ নং ধারাটি সংশোধনের জন্য তিনি নবীনের সমর্থন চেয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, মূল বিষয়টি কিন্তু শুধু তেলঙ্গানা-বিরোধিতায় আটকে নেই। তলে তলে একটি ফ্রন্ট গঠনের কাজও চলছে। এই ফ্রন্টকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ফ্রন্ট’ বলে আগের দিন বর্ণনা করেছেন। এ পর্যন্ত একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন জগন। সেখানে আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে এসেছে। এই বিষয়টি নিয়ে এগোতে মমতা তাঁকে সাহায্য করছেন বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন জগন। তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, জগন আরও বলেছেন, মমতার সঙ্গে আলোচনা করে তিনি খুবই খুশি। এই পরিস্থিতিতে জল্পনা, এমন ফ্রন্ট গঠন হলে, সেখানে কি বামেরা থাকবেন? তাঁরা ইতিমধ্যেই ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে একজোট করে এক মঞ্চে আনার চেষ্টা করেছন। কিন্তু রাজনৈতিক লোকজনের একটি বড় অংশের বক্তব্য, এই ফ্রন্টে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মতো বামেদেরও জায়গা নেই। |
|
|
|
|
|