তরুণীর দায় নিল পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মানিকতলা এলাকায় ডিসি-র (উত্তর) অফিসের সামনে এক তরুণীকে ইতস্তত ঘুরতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে খবর পাঠিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, এক দিন কেটে গেলেও শনিবারও তাঁকে নিতে আসেননি পরিজনেরা। এ দিকে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তরুণী মানসিক রোগগ্রস্ত। অগত্যা তাঁকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার দায় সামলাচ্ছেন পুলিশকর্মীরাই। পুলিশ জানায়, শুক্রবার তরুণীকে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় আনেন পুলিশকর্মীরা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের নাম জানান। জানান, তিনি মছলন্দপুরের বাসিন্দা। তরুণীর থেকে তাঁর স্বামীর নম্বর নিয়ে তাঁকে যোগাযোগ করেন থানার দুই অফিসার প্রশান্ত নাথ ও অমিতাভ দে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার ওই তরুণীর স্বামী জানান রাতেই তিনি আসছেন। কিন্তু আসেননি। এ দিকে, ওই রাতেই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এসে তরুণীকে পরীক্ষা করেন। পরে তাঁকে এনআরএস-এ নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে ওয়াটগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শনিবার সকালে এনআরএস-এর মনোরোগ বিভাগের চিকিৎসকেরা তরুণীকে পরীক্ষা করে জানান, তিনি মানসিক রোগাক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। এ দিন আদালতে হাজির করানোর পরে পুলিশই তরুণীকে পাভলভে ভর্তি করেন। এক পুলিশ অফিসারের কথায়, “বাড়ির লোক আসেননি বলে তো ওই তরুণীর দায় নিতে অস্বীকার করতে পারি না। হাবড়া থানা মারফত ওঁর স্বামীকে ফের খবর পাঠিয়েছি। দেখি কী হয়।”
|
বউমা বেকসুর খালাস পাওয়ার পর থেকে তাঁদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানালেন মুনমুন বসুর শাশুড়ি অনুরাধা বসু। শনিবার লেক থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, তাঁদের বাড়ির লোক এবং মুনমুনদেবীর দুই ছেলেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ডিসি (দক্ষিণ-পূর্ব) দেবব্রত দাস জানান, তদন্ত হচ্ছে। যদিও কে বা কারা হুমকি দিচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি বৃদ্ধা। তবে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাঁদের বাড়ির সামনে পুলিশি পাহারার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সব শুনে বিস্মিত মুনমুনদেবী। সরাসরি অভিযোগ করা না হলেও এই ইঙ্গিত তাঁর দিকে বলেই মনে করছেন তিনি। মুনমুনদেবী বলেন, “বাড়িতে ভাই, আমি আর আমার ৭৭ বছরের মা থাকেন। আমাদের মধ্যে কে এ সব করতে যাবে! আইনজীবীর পরামর্শ নেব।” স্বামীকে খুনের অভিযোগে ১৩ বছর জেল খাটার পরে বুধবার হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পান মুনমুনদেবী। ২০০০ সালে গ্রেফতারের সময় তাঁর দুই ছেলের বয়স ছিল চার আর পাঁচ। মুক্তি পেয়ে মুনমুনদেবী জানান, ছেলেদের ফিরে পেতে চান । কিন্তু ছেলেরা জানান, তাঁরা মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান না। মা নির্দোষ, তা-ও মানেন না।
পুরনো খবর: মা নির্দোষ, মানতে নারাজ মুনমুনের বড় ছেলে
|
চন্দন কাঠ-সহ গ্রেফতার ৪ চিনা |
তেঘরিয়ার একটি হোটেল থেকে ১৫ ব্যাগ চন্দন কাঠ উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক। শনিবার সন্ধ্যায় তেঘরিয়ার একটি হোটেলে হানা দিয়ে চার ব্যাগ চন্দন কাঠ-সহ দু’জনকে প্রথমে ধরে পুলিশ। পরে ওই এলাকাতেই আরও দু’জনকে ১১ ব্যাগ চন্দন কাঠ সমেত ধরে পুলিশ। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহের মধ্যে শহরে তিন বার চন্দন কাঠ ধরা পড়ল। বুধবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ২৭০ কিলোগ্রাম চন্দন কাঠ-সহ ১১ জন চিনা যুবক-যুবতীকে ধরেছিল শুল্ক দফতর। দিল্লি-মুম্বই- চেন্নাইয়ে অত্যধিক কড়াকড়ি-র ফলে কলকাতা দিয়ে চোরাচালানকারীদের গতিবিধি বাড়ছে বলে মনে করছে শুল্ক দফতর।
পুরনো খবর: সোনার পরে ২৭০ কেজি চন্দন আটক বিমানবন্দরে
|
ছত্রিশ ঘণ্টা পর হাঁফ ছাড়ল হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ! এক কাঁদি কলা খাইয়েও যা হয়নি, সে কাজ করে দিল ইসবগুল। বৃহস্পতিবার সোনার হার ছিনতাই করে গিলে ফেলেছিল রবি ঠাকুর নামে ওই চোর। শনিবার সকালে প্রাতঃকৃত্য সারার সময় তার পেট থেকে বেরিয়ে আসে ২২ গ্রাম ওজনের ওই হার। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা ঈশানী চট্টোপাধ্যায়ের হার ছিনতাই করে পালায় রবি। ঘটনার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেলে হারটি গিলে ফেলে সে।
পুরনো খবর: হার গিলে চোর দিব্যি ওড়াল ২৮টি কলাও |