স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দিতে সবলা মেলার আয়োজন করল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জেলা স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি এবং জেলা পরিষদের গ্রামোন্নয়ন শাখার যৌথ সহযোগিতায় শুক্রবার থেকে রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুল সংলগ্ন মাঠে ওই মেলা শুরু হয়েছে। এ দিন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্য পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য। |
রায়গঞ্জে সবলা মেলা। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন তরুণ দেবনাথ। |
প্রশাসনের দাবি, প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচে জেলায় এই প্রথম এত বড়মাপের সবলা মেলার আয়োজন করা হল। জেলার ন’টি ব্লকে ১৩০৯৯টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে বাছাই করা মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত ৭৯টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে মেলায় তাঁদের তৈরি নানা সামগ্রী বিক্রি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন থেকেই মেলার ৩৫টি স্টলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা তাঁদের তৈরি করা ২৫ প্রকারের সামগ্রী বিক্রির কাজ শুরু করেছেন। প্রশাসন আপাতত আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলাটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষদিন পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকলে প্রয়োজনে মেলার সময়সীমা বাড়ানোও হতে পারে। প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চালু থাকবে। জেলা পরিষদের গ্রামোন্নয়ন শাখার প্রকল্প অধিকর্তা নিবিল ঈশ্বরারী বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের স্বনির্ভরতা ও বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির ব্যাপারে উৎসাহ দিতেই এই সবলা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে এখন থেকে সরকারি খরচে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মেলাগুলিতে জেলার সব স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে হাজির করিয়ে তাঁদের তৈরি করা সামগ্রী বিক্রি করার সুযোগ করে দেওয়া হবে।” পরিষদীয় সচিব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান পিছিয়ে পড়া উত্তর দিনাজপুরের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াক। তাঁর পরামর্শ নিয়ে সবলা মেলার আয়োজন হয়েছে।” রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, করণদিঘি, ইটাহার, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর ১ ও ২ ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সবলা মেলায় তাঁদের তৈরি করা বাঁশ, বেত, চট, সুতো, কাপড়, পুঁথি, উল, নাইলন, কাঁচ, প্লাস্টিক, মাটি ও পাটের তৈরি নানা নিত্য প্রয়োজনীয় ও ঘর সাজানোর পসরা নিয়ে হাজির। বিক্রি হচ্ছে জৈবসার, কার্পেট, পাপস, মহিলাদের নানা পোশাক-সহ মুড়ি, হলুদ, বড়ি, পাঁপড়, আচার-সহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবারও। |