|
|
|
|
বৃহত্তর জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্যশিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সরকারি ঘোষণা আছে। রয়েছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা প্রকল্প-পরিষেবা। তা সত্ত্বেও পরিষেবা-বৃত্তের বাইরে থেকে যান প্রত্যন্ত এলাকার প্রান্তবাসী মানুষজন। এমনই অসহায় আদিবাসী-মূলবাসী মানুষগুলির কাছে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন জঙ্গলমহলের এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। ‘জঙ্গলমহল ভূমিপুত্র ও কন্যা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠনও গড়ে ফেলেছেন তাঁরা। সংগঠনের সদস্যরা কেউ পেশায় চিকিৎসক, কেউ আবার শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কিংবা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া। রয়েছেন বিশিষ্ট এক সমাজসেবীও। ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ এই চার রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গল-এলাকাকে বেছে নিয়েছেন জঙ্গলমহলের এই ভূমিপুত্র-ভূমিকন্যারা। সংগঠনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবী অমল দাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা কোনও এনজিও তৈরি করিনি। সংগঠনের নিজস্ব খরচে অবহেলিত মানুষগুলির পাশে আমরা দাঁড়াতে চাইছি। প্রাচীন অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের মূলবাসী মানুষগুলির মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন গড়ে তোলাটাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।” একসঙ্গে চার রাজ্যে এই উদ্যোগ কেন? সংগঠনের সম্পাদিকা চিকিৎসক উমা সরেন জানাচ্ছেন, “চার রাজ্যের জঙ্গলখণ্ডের প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থ সামাজিক বেশ কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। আমার সেই ‘বৃহত্তর জঙ্গলমহলের’ দরিদ্র বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে চাইছি।”
চিকিৎসক ও ভাবী চিকিৎসদের এই সংগঠনটি প্রথম পর্যায়ে চার রাজ্যের দুর্গম অঞ্চলে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যশিবির করার উদ্যোগ নিয়েছে। চিকিৎসক ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের একটি দল নিয়ে চার রাজ্যের প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে পরিষেবা দানের কাজ শুরু হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর প্রথম স্বাস্থ্য শিবিরটি হয় ওড়িশার বালেশ্বরের কানসা গ্রামে। ওই শিবিরে নীলগিরি অঞ্চলের দশটি গ্রামের প্রায় দু’হাজার বাসিন্দাকে চিকিৎসা করে ওষুধ বিতরণ করা হয়। |
|
|
|
|
|