|
|
|
|
দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ভরসা প্রায় তিন লক্ষ বাসিন্দার
নিজস্ব সংবদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
ব্লকের জনসংখ্যা তিন লক্ষ ছুঁয়েছে। যদিও, স্বাস্থ্য পরিষেবা বলতে একটি মাত্র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জয়গাঁ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের স্বাস্থ্য পরিষেবায় উদ্বেগে প্রশাসন।
আলিপুরদুয়ার মহকুমার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দীনেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘একটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পিছু বাসিন্দার সংখ্য ৮০ হাজার এবং একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পিছু ২০ হাজার হওয়ার কথা। সে হিসেবে কালচিনি ব্লকের জনসংখ্যা প্রায় তিন গুণ। জয়গাঁ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। পাশাপাশি দুর্গম বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দাদের জন্য রাজাভাতখাওয়া এলাকায় আরও একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও চুয়াপাড়া এলাকায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় ২৪টি চা বাগানও রয়েছে। সম্প্রতি, বেশ কয়েকটি চা বাগান ‘রুগণ্’ হয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বেড়েছে। লতাবাড়ি এলাকায় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ১৫টি শয্যা এবং চারজন চিকিৎসক রয়েছেন। সাতালি এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বেহাল বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। পরিষেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারাও।
জয়গাঁ থেকে কালচিনি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। এলাকার বাসিন্দা অনিল জয়সওয়াল অভিযোগ করে বলেন, “সর্দি-কাশি জ্বর হলেও নার্সিংহোমে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। গুরুতর কিছু হলে, প্রায় ৬০-৭০ কিমি দূরে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।” কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্পামারি বলেন, “এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা বনবস্তি ও চা বাগান এলাকায় থাকেন। দরিদ্রদের পক্ষে দূরে গিয়ে চিকিৎসা করানো অসম্ভব। এলাকায় যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনে আর্জি জানাব।” ব্লক কংগ্রেসের নেতা বাবলু মজুমদার বলেন, “বাম আমল থেকে বর্তমান রাজ্য সরকার কেউ এলাকায় উন্নয়নের দিকে নজর দেয়নি। ম্যালেরিয়া এবং ডায়েরিয়া প্রবণ এই ব্লকে চিকিৎসা পরিষেবায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। দলের তরফে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।” |
|
|
|
|
|