|
|
|
|
কর্মীর অভাবেই ভালুকায় তালাবন্ধ পড়ে অন্তর্বিভাগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
বছর চারেক আগে ঘোষণা করা হয়েছিল। দেড় বছর আগে ভবন নির্মাণও শেষ। পরিচ্ছন্ন অপারেশন থিয়েটার থেকে প্রশস্ত অন্তর্বিভাগসবই রয়েছে। তবু মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের পরিষেবা চালু হয়নি। এক পাশে বহির্বিভাগ চললেও, অন্তর্বিভাগ তালা বন্ধ থাকে। পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বিভাগ চালু না হওয়ার প্রসঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, মূলত কর্মীর অভাবে পরিষেবা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করা ১০টি শয্যার হাসাপাতাল ভবনের কাছেই স্থানীয় বাসিন্দারা গরু-ছাগল বেঁধে রাখেন বলে অভিযোগ। বন্ধ হাসপাতাল চত্বর জুড়েই গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ। শুধু তাই নয়, ভবনের সামনের জায়গাও ক্রমশ দখল হয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি হিসাবে বিক্রি করার জন্য খড়ি, পাটকাঠি জড়ো করে রাখেন বাসিন্দারা। এমনকী এলাকায় অস্থায়ী দোকান-বাজার বসে গিয়েছে। নতুন ভবনটি ব্যবহার না হওয়ায়, অবহেলায় ক্রমশ বেহাল হতে শুরু করেছে বলে বাসিন্দা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়। |
|
নতুন ভবন চালু হয়নি। সেই চত্বরে এ ভাবেই কাঠকুটো জমা করে রাখেন বাসিন্দারা। ছবি: বাপি মজুমদার। |
হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ চালুর দাবিতে কমিটি গড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ‘ভালুকা স্বাস্থ্য পরিষেবা বাঁচাও কমিটি’র পক্ষে সম্পাদক সত্যনারায়ণ যাদব বলেন, “কবে থেকে ১০ শয্যার অন্তর্বিভাগ চালু হবে, তার সদুত্তর কারও কাছ থেকে মিলছে না। ফের আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।”
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে বিহার সংলগ্ন ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা চালু করা সহ পরিষেবা উন্নয়নের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বাসিন্দারা। অবস্থানগত দিক দিয়ে হাসপাতালটি হরিশ্চন্দ্রপুরের কিছু এলাকা ছাড়াও চাঁচল ২ ব্লক ও রতুয়া ১ ব্লকের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের কাছে অন্যতম ভরসা। ফুলহারের ও পারে বিহার থেকেও বহু রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসেন। শয্যা না থাকায় তাঁদের রতুয়া বা মালদহে যেতে হয়। টানা আন্দোলন এবং বাসিন্দাদের নানা সমস্যার কারণেই ২০১০ সালে স্বাস্থ্য দফতর থেকে হাসাপাতালটিকে ১০ শয্যার হাসাপাতালে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো অন্তর্বিভাগ চালুর জন্য নতুন ভবনও তৈরি হয়।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছেন দু’জন। ৪ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ১ জন। চতুর্থ শ্রেণির কোনও কর্মীই নেই বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এক জন নার্স দিয়ে অন্তর্বিভাগ চালু করা সম্ভবপর নয়। চিকিৎসকের সংখ্যাও অর্ন্তবিভাগ চালু করার পক্ষে যথেষ্ট নয়। ফলে সকালে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বহির্বিভাগের পরে হাসপাতাল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। চাঁচলের সহ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস বলেছেন, “শয্যা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় নার্স সহ স্বাস্থ্য কর্মীর অভাব রয়েছে। ফলে সেখানে শয্যা-পরিষেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, দ্রুত যাতে সমস্যা কাটিয়ে অন্তর্বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়, তার জন্য জরুরি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|