এসজেডিএ কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে বিঁধে শিলিগুড়িতে আন্দোলন জোরদার করতে চাইছে বামেরা। শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর শহরের বাঘাযতীন পার্কে জাতীয় সংহতি দিবস উপলক্ষে সভায় বামেদের তরফে এই দাবি জানানো হয়।
সভায় এসজেডিএ’র আর্থিক দুর্নীতি তুলে ধরে বর্তমান বোর্ড সদস্যদের অপসারণ চান বাম নেতা-কর্মীরা। তা ছাড়া জামিন অযোগ্য ধারায় এসজেডিএ’র প্রাক্তন সিইও তথা মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণকুমারকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কী ভাবে তিনি ছাড়া পেলেন, সে ব্যাপারেও তাঁরা তদন্তের দাবি করেছেন। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই ওই মামলার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বামেরা।
এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত অবস্থান সভা করেন বামেরা। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “এসজেডিএ-র বিভিন্ন প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমান বোর্ড সদস্যদের অপসারিত করতে হবে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ প্রাক্তন সিইওকে গ্রেফতার করে ৪ দিন পুলিশে হেফাজতে নেওয়ার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কী ভাবে তিনি ছাড়া পেলেন? বিষয়টি তদন্ত করে দেখার দাবি তুলছি আমরা। গোদালা কিরণকুমার গ্রেফতারের পর পুলিশ প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং অপর যে সদস্যদের জেরা করেছিল তাদেরও গ্রেফতার করতে চেয়েছিল। তা ধামাচাপা দিতেই ওই পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হল।”
আগামী ২০ ডিসেম্বর বাঘা যতীন পার্কে এসজেডিএ, সারদা কাণ্ড-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসভার ডাক দিয়েছে বামেরা। সেখানে প্রধান বক্তা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এ দিন সভায় বক্তৃতা করেন ফরওয়ার্ড ব্লকের অনিরুদ্ধ বসু, আরএসপি’র দিলীপ রায়, পুরসভার বিরোধী দলনেতা মুলুর ইসলাম, দার্জিলিং জেলা সিপিএমের কার্যনির্বাহী সম্পাদক জীবেশ সরকারের মতো নেতারা। অনিরুদ্ধবাবু বলেন, “বর্তমান সরকার মুখে বলছেন আইন নিজের পথে চলবে। কার্যক্ষেত্রে তারা সেই আইনি ব্যবস্থাকে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করতে মরিয়া। সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত সাংসদ গোপনে জবানবন্দি দিতে চাইছেন। অথচ সরকারপক্ষ তা করতে বাধা দিচ্ছেন।”
|