|
|
|
|
চাঁদ তৃণমূলেই, সংশয় সমাজবাদী পার্টিকে নিয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শেষ পর্যন্ত তৃণমূলেই যোগ দিলেন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক চাঁদ মহম্মদ। বামফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ভেঙে বিধানসভার ৭৫ বর্ষ-সমাপ্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দু’দিন আগেই বাম শিবিরে ভাঙনের ইঙ্গিত স্পষ্ট করেছিলেন চাঁদ। এ বার তৃণমূলে তাঁর যোগ দেওয়ার পরে বামফ্রন্টের শরিক হিসাবে সমাজবাদী পার্টির অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হল। দলের একমাত্র বিধায়ক হওয়ায় চাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রযোজ্য হবে না।
বাম বয়কট চলাকালীন বিধানসভার ৭৫ বছরের সমাপ্তিতে রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানেও শুক্রবার হাজির থাকতে চেয়েছিলেন চাঁদ। দেরি হয়ে যাওয়ায় সেখানে ঢুকতে না-পারলেও উপস্থিত ছিলেন চা-চক্রে। তার পরে এ দিনই সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শাসক দলে যোগ দিয়েছেন ভগবানগোলার বিধায়ক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় দাবি করেছেন, “চাঁদ মহম্মদ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাংলার সমাজবাদী পার্টিও তৃণমূলের সঙ্গে মিশে গেল। দল ও সরকার নিশ্চিত ভাবে চাঁদকে কাজে লাগাবে।” চাঁদ জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই যা করার করেছেন। কিন্তু তৃণমূলের দাবি মানতে চাননি সমাজবাদী নেতৃত্ব। তাতেই আরও বেড়েছে জটিলতা।
সমাজবাদী পার্টির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কিরণময় নন্দের দাবি, চাঁদের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। এ রাজ্যে তাঁদের দলের রাজনৈতিক অবস্থানে এখনও কোনও বদল হয়নি। সমাজবাদীর রাজ্য সভাপতি বিজয় সিংহ ভাদুড়িয়ারও (যিনি বিধানসভার চা-চক্রেও ছিলেন) বক্তব্য, “বিকাল পর্যন্ত চাঁদের সঙ্গে ছিলাম। তৃণমূলে যোগ দিতে যাচ্ছেন, বলেলনি! ওঁর সিদ্ধান্ত এটা। কিন্তু সমাজবাদী পার্টির প্রতীকে উনি জিতেছিলেন। তাই দল ছাড়ার সময় ওঁকে আগে বিধায়ক-পদে ইস্তফা দিতে হবে।”
নৈতিক কারণে যে দাবি বিজয়েরা করছেন, তার সঙ্গে সহমত বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও। তবে এত পরস্পর-বিরোধী দাবির মধ্যে সমাজবাদী পার্টিকেই আগে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে বলে মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। চাঁদের শিবির-বদলের খবরে সূর্যবাবুর মন্তব্য, “আমাদের রাজ্য সরকার এখন বাজার সরকার চালাচ্ছে! ব্যাগ হাতে তারা নেমেছে! টাকাপয়সা এবং আরও নানা কূটকৌশলে নীতিহীন, মেরুদণ্ডহীন কিছু মানুষকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসছে। আয়ারাম-গয়ারামের এমন রাজনীতি আমাদের রাজ্যে বহু দিন ছিল না!” |
|
|
|
|
|