|
|
|
|
মোদীকে আমল কেন, দলে প্রশ্ন মনমোহনের মম্তব্যে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৬ ডিসেম্বর |
বিস্ফোরণ উপেক্ষা করেও তাঁর পটনার জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়েছে। তবু নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসের সামনে কোনও চ্যালেঞ্জই নন! হজম হল কি? অথচ জয়রাম রমেশ বা কপিল সিব্বলের মতো কংগ্রেসের পোড় খাওয়া নেতা মন্ত্রীরা এত দিন সে কথাই বলছিলেন। যদিও ঘরোয়া আলোচনায় তাঁরা কবুল করছিলেন মোদীকে পাত্তা না দেওয়াটা আসলে একটা কৌশল! প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ কিন্তু তা করছেন না। আজ এক সম্মেলনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “মন্ত্রিসভার দুই সদস্য বলেছেন, মোদীকে তাঁরা কোনও চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন না। আপনি কী মনে করেন?” বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে মনমোহন জবাব দেন, “বিরোধী দলের শক্তিকে কোনও ভাবেই খাটো করে দেখতে পারি না। আমি অন্তত বিরোধীদের শক্তিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখি। তাই আত্মতুষ্টির স্থান নেই।” দলের অনেক নেতাই মনমোহনের এই অবস্থান মেনে নিতে পারছেন না।
বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, পাঁচ রাজ্যে সদ্য হওয়া বিধানসভা ভোটের ফল কংগ্রেসের অনুকূলে যাবে না। এই পরিস্থিতিতে মনমোহন আজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল যা-ই হোক না কেন, তাতে বিভ্রান্ত না হয়ে আত্মবিশ্বাস ও উদ্দীপনার সঙ্গেই লোকসভা ভোটে যাবে কংগ্রেস। স্পষ্টতই বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে আশঙ্কাই ধরা পড়েছে মনমোহনের গলায়। আর সেই কারণেই, তিনি এই ফলাফল নিয়ে চিন্তিত না হওয়ার কথাই বলছেন।
কিন্তু কংগ্রেসের অনেক নেতাই মোদী সম্পর্কে মনমোহনের অবস্থানের সঙ্গে এক মত হতে পারছেন না। দলের একাধিক নেতাই ঘরোয়া ভাবে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলে ঠিক করেননি। মোদী কংগ্রেসের সামনে চ্যালেঞ্জ ঠিকই। কিন্তু সে কথা প্রকাশ্যে কেন স্বীকার করবে কংগ্রেস? মোদী কি কখনও বলবেন, রাহুল গাঁধী বা সনিয়া গাঁধী তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ? বিপক্ষের নেতাকে প্রকাশ্যে আমল না দেওয়াটাই বরং রাজনৈতিক কৌশল। এবং সে কারণে সুচিন্তিত ভাবেই মোদীর নাম মুখেও আনছেন না রাহুল। কংগ্রেসের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলছেন, অথচ বিজেপি-র নেতারাই খতিয়ে দেখছেন, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে আদৌ মোদীর প্রভাব কাজ করেছে কি না!”
সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত বিল নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনারও আজ জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে এই বিল পেশ করে কংগ্রেস রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে কি না প্রশ্ন করা হলে মনমোহন দাবি করেন, এটা আদৌ রাজনৈতিক দেখনদারি নয়। গত পাঁচ ছ’বছরে দেখা যাচ্ছে কোথাও না কোথাও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রশাসন ও পুলিশ যাতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে, সেটাই সুনিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। একান্তই হিংসা রোধ করতে না পারলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, “মুজফ্ফরনগরের দাঙ্গার ঘটনাই এর প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সংসদে বিলটি পাশ হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা দমন করা সম্ভব হবে বলেই আশা করছি।” |
|
|
|
|
|