|
|
|
|
দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মশা, অতিষ্ঠ বাসিন্দারা
দেবাশিস দাস |
মশার দাপটে অতিষ্ঠ কলকাতা পুরসভার সংযোজিত এলাকার বাসিন্দারা। বেহালা, টলিনালা সংলগ্ন এলাকা এবং ইএম বাইপাস সংলগ্ন সংযোজিত ওয়ার্ডগুলির বাসিন্দাদের অভিযোগ, সব সময় মশার উপদ্রব চলে। যদিও পুরকর্তাদের বক্তব্য, শীতের শুরুতে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ে। এই মশা রোগ ছড়ায় না, বিরক্তি উৎপাদন করে।
এই সব এলাকায় অনেক খাল এবং খোলা নর্দমা রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর জন্যই এলাকায় মশার এত উপদ্রব। মশা মারার জন্য পুরসভার তরফে কীটনাশক ছড়ানো হলেও তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিজেরা বাড়িতে মশা মারার স্প্রে, ধূপ ব্যবহার করেও রেহাই মিলছে না। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ্ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “খাল এবং নিকাশি নর্দমাতে কিউলেক্স মশা জন্মায়। এরা রোগবাহী নয়। তবে মানুষকে বিরক্ত করে। নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই এদের নিয়ন্ত্রণের জন্য কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন।” |
|
এ ভাবেই দিনযাপন। —নিজস্ব চিত্র। |
ইএম বাইপাস-সংলগ্ন মাদুরদহ, মুকুন্দপুর, হাইল্যান্ডপার্ক এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্ধ্যা হলেই মাথার উপরে গোল করে মশার ঝাঁক ঘুরতে থাকে। কোথাও দু’দণ্ড দাঁড়ানো যায় না। টলিনালা সংলগ্ন নিউটালিগঞ্জ, বন্দিপুর রোড, চাকদহ, রায়নগর এলাকার বাসিন্দারা জানান, দিনেও মশার উপদ্রবে ঘরের দরজা-জানলা খোলা যায় না। বেহালা সখেরবাজার, শীলপাড়া, সরশুনা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক জায়গায় মশার উপদ্রবে দিনেও ঘরের মধ্যে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়।
কলকাতা পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন খালে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৮টি দাঁড়-টানা নৌকো চালানো হচ্ছে। প্রতি নৌকোয় দু’জন করে স্বাস্থ্যকর্মী বিভিন্ন খালে মশা মারার কীটনাশক ছড়ান। কলকাতায় গত কয়েক বছর ধরে মশাবাহিত রোগ তুলনামূলক ভাবে কমেছে বলে ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকদের দাবি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দফতরের এক কর্তা জানান, আগে পুরসভা শুধু রোগবাহী মশা নিয়ন্ত্রণ করত। গত কয়েক বছর ধরে নভেম্বরের শুরু থেকেই কিউলেক্সের মতো মশা নিয়ন্ত্রণেও অভিযান শুরু হয়।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, “টলি নালা সংস্কারের কাজ চলছে। তাই ওখানে এখন নৌকো চালানো যাচ্ছে না। তবে ওই অঞ্চলের অন্য সব খালে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য নৌকো চালানো হচ্ছে এবং কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে ওই সব এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের অভিযান আরও জোরদার করব।” |
|
|
|
|
|