|
|
|
|
বেআইনি পার্কিং রুখতে টালবাহানা, নিত্য দুর্ভোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
লালবাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই চলছে বেআইনি পার্কিং।
বিবাদী বাগ মিনিবাস টার্মিনাস চত্বরে ঢোকার মুখে এবং টার্মিনাসের বাঁধানো ফুটপাথের উপর সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে বাইক। এগুলির মধ্যে পুলিশের বাইকও থাকে বলে অভিযোগ। তবে এই বেআইনি পার্কিং সরানোর
দায় কার এ নিয়ে রয়েছে চাপান-উতোর। ফলে, অসুবিধায় পড়ছেন অসংখ্য নিত্যযাত্রী।
মহাকরণের সামনের এই টার্মিনাস থেকে শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তের মিনিবাস ছাড়ে। ফলে, এই বাস টার্মিনাসে যাত্রীসংখ্যাও তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। যাদবপুরের বাসিন্দা দেবরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রতি দিন এই টার্মিনাস দিয়ে যাতায়াত করি। যত দিন যাচ্ছে এখানে বাইকের সংখ্যা যেন আরও বেড়ে চলেছে। এখানে ঢুকতে বেরোতে অসুবিধা হয়।” |
|
এ ভাবেই চলেছে বেআইনি পার্কিং। ছবি: রণজিৎ নন্দী। |
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “এই টার্মিনাসটি পরিবহণ দফতরের নয়। বাইক বেআইনি ভাবে পার্ক করা হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব পুলিশ এবং পুরসভার।” অন্য দিকে, পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, অবশ্যই এই বাস টার্মিনাসটির রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু বাস টার্মিনাসের মধ্যে কোথায় বেআইনি পার্কিং হচ্ছে সেই ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (পার্কিং) দেবাশিস কুমার বলেন, “কোনও বাস টার্মিনাসের মধ্যে পুরসভা পার্কিং ফি নিতে পারে না।
এ ছাড়া বাস টার্মিনাসটি পুরসভারও নয়। টার্মিনাসের মধ্যে পার্কিং বেআইনি কি না তা পুলিশেরই দেখার কথা।”
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বাস টার্মিনাসে এই ভাবে বাইক রাখা বেআইনি। টার্মিনাসের ফুটপাথে তো নয়ই, এমনকী যেখানে বাস দাঁড়ায় সেখানেও অনুমতি ছাড়া বাইক বা অন্য কিছু পার্ক করার নিয়ম নেই। তা সত্ত্বেও এখানে কেন বাইক পার্কিং করা হয় তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।
কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডি সি (ট্র্যাফিক) নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, “শহরের বিভিন্ন জায়গাতেই বেআইনি পার্কিং রুখতে অভিযান চালানো হয়। খোঁজখবর নিয়ে এখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|