সিউড়ি-কলকাতা হুল এক্সপ্রেস ট্রেনটি খয়রাশেলের পাঁচড়া স্টেশনে দাঁড়ালে খয়রাশোলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক মানুষের সুবিধা হবে। এমনটাই দাবি করেছেন ওই ব্লকে বসবাসকারি মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ মিত্রঠাকুর জানান, পূর্ব রেলের অন্ডল-সাঁইথিয়া শাখায় এমনিতেই ট্রেন চালাচল সীমিত। ময়ূরাক্ষ্মী ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার ও হুল এক্সপ্রেস মিলে দিনে মাত্র দু’টি ট্রেন কলকাতায় যাতায়াত করে। ময়ূরাক্ষ্মী দাঁড়ালেও হুল খয়রাশোল ব্লকের মধ্যে থাকা পাঁচড়া বা ভীমগড়া স্টেশনে দাঁড়ায় না। ফলে ওই ট্রেনটি ধরতে খয়রাশোলের মানুষকে বেশ কিছুটা পথ পিছিয়ে হয় দুবরাজপুর স্টেশনে বা এগিয়ে গিয়ে বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর স্টেশন যেতে হয়।
তাই স্থানীয় মানুষ লিখিত ভাবে একবার পাঁচড়া স্টেশন ম্যানেজারকে তাঁদের দাবি কথা জানিয়েছিলেন এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুকুল রায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীল একবার অনুরোধও করা হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এলাকার মানুষ চান হুল এক্সপ্রেস যদি রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়ক ঘেঁষা পাঁচাড়া স্টেশনে থামে, তা হলে সকালে কলকাতা থেকে ফিরতে এবং দুপুরে কলকাতা যেতে অনেক সুবিধা হয়। এ ব্যাপারে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশন কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, স্টপেজ দেওয়ার বিষয়টি ডিভিশনের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রেলবোর্ড। অন্য দিকে, অন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখার উপর দিয়ে চলাচলকারি ভাগপুরভাগ-রাঁচি বনাঞ্চল ও মালদহ-দিঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টিকে দুবরাজপুর স্টেশনে স্টপেজ দেওয়ার ব্যাপারে রেলের কাছে দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমিতি। দিন কয়েক আগে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জে.সি অগ্রবাল যখন ওই শাখার বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শনে এসেছিলেন, ওই সমিতির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে একটি আবেদনপত্র তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। জি.এম বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। নাগরিক সমিতির সদস্যদের দাবি, অন্তত বনাঞ্চল ট্রেনটি যদি দুবরাজপুর স্টেশনে থামে, তা হলে দুবরাজপুর, খয়রাশোল ও রাজনগর এমনকী লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষ উপকৃত হবেন। এ ছাড়া, রাতে ময়ূরাক্ষ্মী ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার অন্ডাল (রাত ৮টা-১০ মিনিটে) ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও ওই এলাকার মানুষ বাড়ি ফেরার একটা সুযোগ পাবেন। কারণ, বনাঞ্চল ট্রেনটি ঘণ্টা খানেক পরে অন্ডাল স্টেশন ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার ফের বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে রেলের ওই আধিকারিকের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে দুবরাজপুর নাগরিক সমিতির সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ মিশ্র জানিয়েছেন। |