নতুন রূপে যতটা সুন্দর অ্যাডিলেড ওভাল, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে কি তত ভাল লাগবে অ্যালিস্টার কুকদের? সম্ভবত না। কারণ, সেখানে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করে আছে অশান্ত গ্যালারি। শুধু মাঠে স্লেজিং নয়, গ্যালারি থেকে উড়ে আসা অশ্রাব্য গালিগালাজও সামলাতে হবে তাঁদের। তা আগাম ধরেই দ্বিতীয় টেস্টের প্রস্তুতি সারলেন কুকরা।
ব্রিসবেনে ট্রট-কাণ্ড, ক্লার্ক-কাণ্ডের পর অজি কোচ ডারেন লেম্যানের শান্তিপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ও ইংরেজদের উদ্দেশে তাঁর ঘোষণা, “এমন আরও গরমাগরম ঘটনার জন্য তৈরি হও।” এ সবের পর বোঝাই যাচ্ছে, অ্যাডিলেডেও একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কুকের অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা নতুন নয়। নিজেই সে কথা জানিয়ে বলেন, “গতবারও এখানে অশান্ত গ্যালারি পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু সে বার আমরা এমন খেলেছিলাম যে, শেষ পর্যন্ত গ্যালারি চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের অনেকেরই এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই এর মধ্যেই ভাল ক্রিকেট দেখানোর জন্য আমরা প্রস্তুত। কারণ, জানি যে, এ বারও ওদের ভাল ক্রিকেট দিয়েই চুপ করাতে হবে।” |
নেটে পিটারসেনের সুইচ হিট। বুধবার অ্যাডিলেডে। ছবি: এএফপি। |
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও এই ব্যাপারে একমত যে, গোলাগুলি চলবেই। কিন্তু তা যাতে শালীনতার নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে না যায়, সে দিকে সচেতন থাকতে বলেছেন দলের সতীর্থদের। প্রথম টেস্টে যে এগারোর দল নিয়ে ৩৮১ রানে জিতেছিলেন, সেই এগারোজনকে নিয়েই ব্রিসবেনে নামার সিদ্ধান্ত জানানোর পর ক্লার্ক এ দিন বলেন, “টাফ ব্র্যান্ডের ক্রিকেটই চলবে। কিন্তু বিপক্ষকে যতটা সম্মান দেওয়া দরকার, তা তাদের দিতেই হবে। ওরা যথেষ্ট ভাল দল। ব্রিসবেনে হারের পর ওরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেই। এই ব্যাপারটা মাথায় রেখেই মাঠে নামতে হবে আমাদের।” আগের দিন নেটে না নামায় দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর না থাকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। বুধবার অবশ্য নেটে প্র্যাকটিস করেন তিনি এবং জানিয়ে দেন, “এক দিন বিশ্রাম পেয়ে ভালই হয়েছে। গোড়ালির ব্যথা এখন আর নেই। কাল খেলব।”
এমনিতে অ্যাডিলেডের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়ে থাকে। কিন্তু নতুন অ্যাডিলেডে ‘ড্রপ-ইন পিচ’ বসানোয় সেই উইকেটের চরিত্রে কিছুটা বদল এসেছে। এই উইকেটে হওয়া দু’টি শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচে চতুর্থ দিনেও উইকেটে ভাঙন ধরতে দেখা যায়নি। দু’টি ম্যাচই ড্র হয়েছে এখানে। পেসারদের শিকার সংখ্যাও বেশ কমেছে। এই কথা মাথায় রেখে মন্টি পানেসরকে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে প্রথম এগারোয় আনার ভাবনা রয়েছে ইংল্যান্ড শিবিরে। দেশে ফিরে যাওয়া ট্রটের জায়গায় জো রুট বা ইয়ান বেলকে হয়তো তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হবে। মিডল অর্ডারে ফাঁকা হওয়া জায়গায় গ্যারি বালান্সের টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ট্রেমলেটের জায়গায় চোট সারিয়ে আসা ব্রেসনানকেও খেলানো হতে পারে। |