৪৮ ঘণ্টা পরেই ড্র। কে গ্রুপ অব ডেথ-এ পড়বে কে-ই বা পাবে সহজ প্রতিপক্ষ তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। সব ক’টি দলকে চারটি পটে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পট থেকে একটি করে দল থাকবে গ্রুপে। প্রথম পটে রয়েছে ফিফার বাছাই দলগুলি। চলতি বছরের অক্টোবরের ফিফা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী তৈরি হয়েছে বাছাইদের তালিকা। আয়োজক হিসেবে ব্রাজিল যেমন রয়েছে তেমনই গত ক’য়েকটি বিশ্বকাপেই খুব একটা সুবিধে না করতে পারা সুইৎজারল্যান্ডও রয়েছে এই পটে। ফলে চার নম্বর পটে থাকা ইংল্যান্ডের বাছাইদের কঠিন গ্রুপে অথবা সুইৎজারল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গে সহজ গ্রুপে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই কথা বলা যায় এশীয় দলগুলির ক্ষেত্রেও।
|
ব্রাজুকার আত্মপ্রকাশ। রিও ডি জেনেইরোতে এক অনুষ্ঠানে। ছবি: এএফপি। |
এর মধ্যে মঙ্গলবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের নতুন বল ‘ব্রাজুকা’ প্রকাশ করল অ্যাডিডাস। দেশের বাইরে থাকা ব্রাজিলীয়দের বোঝানোর পাশাপাশি ব্রাজিলীয় জাত্যাভিমানকে তুলে ধরতেও এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ১৯৭০ থেকে এই সংস্থাটির উপরই বিশ্বকাপের বল তৈরির দায়িত্ব থাকে আর প্রতিবারই তার সঙ্গে জুড়ে যায় চমক বা বিতর্ক।
এ বার যেমন ব্রাজুকা-র নির্মাতা সংস্থার দাবি, ডিজাইনে নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাকে বলা হচ্ছে ‘সিক্স প্যানেল ডিজাইন’। ব্রাজুকার বহিরঙ্গ সজ্জাতেও রয়েছে নতুনত্ব। ব্যবহার করা হয়েছে ‘রিবন ডিজাইন’। |
ফুটবলের মহাভোজে কিংবদন্তি সাঁতারু। পেলের সঙ্গে ফেল্পস। ছবি: রয়টার্স। |
ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ‘উইশ ব্রেসলেট’-এর মতো ব্রাজুকার গায়েও রয়েছে নীল, সোনালি আর সবুজ রঙের শেড।
আগামী বছর ১২ জুন সাও পাওলোয় উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে ১৩ জুলাই রিও ডি জেনেইরোর ফাইনাল পর্যন্ত
বিশ্বকাপের লড়াইয়ে ব্রাজুকাই হয়ে উঠবে বিশ্বের তাবড় তাবড় ফুটবলারদের প্রধান অস্ত্র। তবে অতীতে কিন্তু নতুন বল নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ‘জাবুলানি’ নিয়ে যেমন অনেক গোলকিপারই অভিযোগ করেছিলেন, বলের গতি আর বাঁক বোঝা যাচ্ছে না বলে। তা ছাড়া প্রতি বিশ্বকাপেই দেখা যায় বলের গতি বেড়েছে। ব্রাজুকা নিয়ে নতুন কোনও বিতর্ক তৈরি হয় কি না সেটাই দেখার। |
তবে ব্রাজুকা-র আগে বিশ্বকাপের ড্র-এর অনুষ্ঠানে বিতর্ক তৈরি হয়েছে অনুষ্ঠানের সঞ্চালকদের নিয়ে। সঞ্চালক বাছা নিয়ে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে অ্যাফ্রো-ব্রাজিলিয়ান দুই কৃষ্ণাঙ্গ টিভি তারকাকে ঠিক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের বদলে অন্য দুই শ্বেতাঙ্গকে বাছা হয়। অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি তদন্তে নেমেছে ফিফা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন একজন আইনজীবী। তিনি বলেন, “ব্রাজিলে বর্ণবিদ্বেষকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। যদি সে রকম কোনও অপরাধ হয়ে থাকে সেটা খুঁজে বার করতে হবে। আমরা চাই না দেশের মানুষের ভাবমূর্তি এই কারণে নষ্ট হোক।” |