ট্রপিক্যালের বিরুদ্ধে মানবাধিকার
মেডিক্যাল কলেজের ‘স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ (এসটিএম)-এর গবেষকেরা আইন ভেঙে গরিব মানুষের উপরে বিভিন্ন ওষুধের পরীক্ষা (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এসটিএম-এ কিছু রোগীর উপর বেআইনি ভাবে স্টেম সেল থেরাপির ট্রায়াল চলছে বলে একটি সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়। এর পরেই রাজ্য মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। কমিশনের চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের সচিবকে তদন্ত করে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন।
নিয়মানুযায়ী, কোনও রোগীর উপরে ওষুধ পরীক্ষা করতে হলে তাঁর লিখিত অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এসটিএম-এর গবেষকেরা ইংরাজি না-জানা রোগীদের দিয়ে ইংরাজিতে লেখা অনুমতিপত্রে সই করিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই ধরনের পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিও তাঁরা নেননি বলে অভিযোগ। কমিশনের রেজিস্ট্রার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত জানান, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে চেয়ারম্যান স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রপিক্যাল সূত্রের খবর, হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ১৫-১৬ জন রোগীর উপরে ওষুধ পরীক্ষা চলছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে, এতে আইন ভাঙা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “কোনও রোগী লিখিত অনুমতি দিলে তাঁর উপরে ওষুধ পরীক্ষা করা যায়। খতিয়ে দেখেছি, ট্রপিক্যালে যাঁদের উপর পরীক্ষা চলেছে প্রত্যেকে অনুমতি দিয়েছেন। থেরাপি শুরুর বিষয়ে হাসপাতালের এথিক্যাল কমিটিও অনুমতি দিয়েছে।” তাঁর আরও বক্তব্য: “বিশ্বে অন্তত তিন জন স্টেম সেল থেরাপির গবেষণায় নোবেল পেয়েছেন। তাই এটি ক্ষতিকর মনে করা অর্থহীন। বরং গবেষণা হলে চিকিৎসার নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে। তবে মানবাধিকারের তদন্তের নির্দেশের ব্যাপারে কিছু শুনিনি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.