মণিপুর এবং মিজোরামের সীমানা ঘেঁষা কাছাড় জেলায় এইচআইভি-র সংক্রমণ ছড়ানোয় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছর ৩৫০ জনের দেহে ওই রোগ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৮০০। গত বছর তা ছিল ১৬৫০। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের। এক বছরে ৩৫০ জনের দেহে এইচআইভি ছড়ানোয় চিন্তিত স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা বিবি ভট্টাচার্য। বিভিন্ন সমীক্ষার কথা জানিয়ে কাছাড়ের ভৌগোলিক অবস্থানকেই তিনি এ জন্য দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং মণিপুরের পণ্যবাহী ট্রাক শিলচর দিয়েই যাতায়াত করে। ওই সব ট্রাকের চালক বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। তাঁরা এই শহরের যৌনপল্লিতে অসুরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। মূলত সেখান থেকেই অন্যদের দেহে এইচআইভি জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। আরও মারাত্মক উদ্বেগের কথা বলেছেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এড্স কন্ট্রোল বিভাগের এক কর্তা। তাঁর দাবি, প্রায় দেড়শো রোগী এইচআইভি সংক্রমণের কথা জেনেও হাসপাতালে আসেননি। তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন তা কারও জানা নেই। যক্ষ্মারোগীদের মতো তাঁদের খুঁজে বের করে ওষুধ খেতে বাধ্য করা যায় না। নিজে না-চাইলে কোনও পরামর্শও দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বাদের মধ্যেও এডস্ সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও বিয়ের পর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন ঘটনা কম নয়।
|
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক বালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যালে। পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে মৃত বালকের পরিবার। রবিবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ দাসের (৮)। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার সাহাপুরে। গত শুক্রবার খেলতে গিয়ে বিশ্বজিতের হাতের হাড় ভেঙে যায়। ওই দিন প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। রবিবার বিশ্বজিৎকে নিয়ে পরিজনেরা মেদিনীপুরে আসেন। যান শহরের রবীন্দ্রনগরে চিকিৎসক জয়দীপ পালের চেম্বার। বিশ্বজিতের বাবা বিষ্ণুপদ দাস বলেন, “চিকিৎসক জয়দীপ পাল জানান, অস্ত্রোপচার করতে হবে। চেম্বারেই তিনি ছেলেকে ওটি (অপারেশন থিয়েটার)-তে নিয়ে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বলেন, ‘এখানে কিছু হবে না। ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’ পরে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানেই ছেলের মৃত্যু হয়।” বিষ্ণুপদবাবুর অভিযোগ, “ভুল চিকিৎসার ফলেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে।” বিশ্বজিতের পরিবারের মতে, হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর আগেই ওই বালকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় চিকিৎসক জয়দীপ পালের নামে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। সোমবার মৃতের ময়নাতদন্ত হয়। ঘটনার পরে উত্তেজিত পরিজনেরা ওই চিকিৎসকের চেম্বারে চড়াও হন। জয়দীপবাবুকে ‘উদ্ধার’ করে থানায় আনে পুলিশ। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জয়দীপবাবুর বক্তব্য, “আমি চিকিৎসা শুরুই করিনি। ছেলেটির শারীরিক অবস্থা দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।” পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
|
রবিবার ছিল বিশ্ব এডস দিবস। সেই উপলক্ষে সোমবার মেদিনীপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই আয়োজন করেছিল। সেখানে এইচআইভি আক্রান্ত অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ শিশু-কিশোরদের সঙ্গে এইচআইভি আক্রান্ত শিশু-কিশোররাও অঙ্কন প্রতিযোগিতায় সামিল হয়। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তারা বার্তা দেন, এইচআইভি আক্রান্তদের সমাজে পৃথগন্ন করে রাখা উচিত নয়। এডস সচেতনতায় আলোচনাসভা এবং নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) রবীন্দ্রনাথ প্রধান। পথচলতি বহু মানুষ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন।
|
বিয়েবাড়ির খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ার মৃত্যু হল এক বালকের। গুরুতর অসুস্থ আরও ১০ জন। ভাগলপুরের রসুলপুর থানা এলাকার ধনৌরা গ্রামে গত রাতে ঘটনাটি ঘটে।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ জাফরান (৮)। খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে জাফরান এবং আরও কয়েকজনকে গ্রামের এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্যই জাফরানের মৃত্যু হয়েছে।
|
ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ এই চার রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলখণ্ডের দরিদ্র বাসিন্দাদের কাছে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ‘জঙ্গলমহল ভূমিপুত্র ও কন্যা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের সম্পাদিকা বিশিষ্ট চিকিৎসক উমা সরেন জানান, ১৫ জন চিকিৎসক ও ১৫ জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের একটি দল নিয়ে চার রাজ্যের প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে পরিষেবা দানের কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার প্রথম স্বাস্থ্য শিবিরটি হয় ওড়িশার বালেশ্বরের কানসা গ্রামে। ওই শিবিরে নীলগিরি অঞ্চলের দশটি গ্রামের প্রায় দু’হাজার বাসিন্দাকে চিকিৎসা করে ওষুধ বিতরণ করা হয়। উমাদেবীর বক্তব্য, ওই চার রাজ্যের আদিবাসীদের মধ্যে জাতীয়তা বোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। |