জানুয়ারিতেই তিস্তার জল মিলবে খালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
আগামী মাস থেকেই বোরো চাষের জল মিলবে তিস্তা সেচের ডান এবং বাঁ হাতি খালে। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে সেচ খালে জল মিলবে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। গত বছরের থেকে এ বার প্রায় ১ হাজার হেক্টর পরিমাণ বেশি জমিতে সেচের জল পাওয়া যাবে বলে সেচ আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গের বোরো চাষ মূলত তিস্তা নদীর সেচের জলের উপরেই নির্ভরশীল। কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কবে থেকে জল মিলবে এই ঘোষণার পরেই ফি বছর কৃষকরা বোরো চাষের প্রস্তুতি শুরু করেন। সম্প্রতি সেচ দফতরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানুয়ারী থেকে টানা চার মাস সেচ খালে জল দেওয়া হবে। জল ছাড়ার পুরো প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সেচ এবং কৃষি দফতরের কর্তাদের নিয়ে একটি নজরদারি দলও গঠন করা হয়েছে।
মূলত দু’ভাগে তিস্তা প্রকল্প বিভক্ত। ডানহাতি খালে তিস্তা-মহানন্দা লিঙ্ক ক্যানাল থেকে সেচের জল ছাড়া হয়। সেচের জল দিতে ১০টি শাখা খাল রয়েছে, যার অন্যতম করতোয়া-তালমা শাখা খাল। চলতি বছরের শুরু থেকেই এই খালের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই খাল দিয়েই নতুন প্রায় হাজার হেক্টর জমিতে জল পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে সেচ দফতর জানিয়েছে। অন্য দিকে, তিস্তা বাঁ হাতি খালে তিস্তার সঙ্গে জলঢাকা নদীর সংযোগ ঘটানো হয়েছে। মোট ৪টি শাখা খালের মাধ্যমে মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি ব্লকে সেচের জল দেওয়া হয়।
তবে বাঁ হাতি খালে জল ছাড়া হলেও সেচের জমিতে সেই জল কতটা পৌঁছবে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার কৃষকরা। বাঁ হাতি খালে মোট ৭টি শাখা খাল তৈরির প্রস্তাব থাকলেও ৩টি খাল তৈরির কাজ এখনও শুরুই হয়নি বলে অভিযোগ। ডান হাতি খালে যেখানে ৪০ থেকে ৪৫ কিউমেক জল ছাড়া সম্ভভ হয় সেখানে বাঁ হাতি ক্যানালে ৫ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া সম্ভব হয় ন। শাখা খালের অনেকাংশ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে, কোথাও বা আগাছা গজিয়ে জলের প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। মালবাজারের মৌলানি এলাকার চাষি হারাধন রায়, গজলডোবার পরিমল বিশ্বাস একসুরে বললেন, “আমাদের সেচের জল নিজেদের খরচেই ব্যবস্থা করতে হয়।” তিস্তা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী বাস্তুকার গৌতম দত্ত জানান “সেচ খালে টানা চার মাস জল ছাড়া হবে। বাঁ হাতি খালে জল ছাড়ার আগে সংস্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।” উত্তরবঙ্গের প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টর এলাকায় বোরো চাষের জল দেওয়া হয়। |