এসজেডিএ মামলায় জামিন ঠিকাদারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ঠিকাদার শঙ্কর পাল সোমবার শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেলেন। ঘটনাচক্রে, শনিবার এসজেডিএ-র দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণকুমারকে। রবিবার বিকেলেই তিনি জামিনে ছাড়া পান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শঙ্করবাবুও জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে এই দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অন্য অভিযুক্তেরাও জামিনের আশায় বুক বাঁধছেন বলে আইনজীবীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে।
কেউ কেউ মনে করছেন, যে হেতু ‘আইনের চোখে সকলেই সমান’, তা-ই এসজেডিএ দুর্নীতি মামলায় মালদহের জেলাশাক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পাওয়ায় অন্য অভিযুক্তরাও বিষয়টিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলতে ধরবেন। কারও মতে, আদালত যদি মনে করে, যে কাউকে জামিন দিতেই পারে। সে ক্ষেত্রে মামলাকারী পক্ষের তরফে উচ্চ আদালতে জামিন নাকচের আর্জি জানানোর সুযোগ থাকে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য গোদালার জামিনের আর্জি নাকচের আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, সেই ব্যাপারে এসজেডিএ-এর তরফে কেউ মন্তব্য করতে চাননি। এসজেডিএ-র বর্তমান চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের প্রতিক্রিয়া, “এসজেডিএ-র মামলা বিচারধীন। তা নিয়ে মন্তব্যই করতে চাই না।”
গত মার্চে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসজেডিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শরদ দ্বিবেদী প্রধাননগর থানায় সংস্থার দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তিনটি এলাকায় বৈদ্যুতিক চু্ল্লি না-বসিয়ে ঠিকাদার সংস্থা টাকা তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এর পরে জোড়াপানি সংস্কার, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো সহ নানা খাতে বহু কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও দায়ের হয়। ওই সব মামলায় দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সহ ১০ জন গ্রেফতার হন। এখন জেলে রয়েছেন দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র মৃগাঙ্কমৌলি সরকার ও সপ্তর্ষি পাল।
যাঁদের জেরা করা হয়েছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়েও এসজেডিএ-র অফিসার-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এখনও যাঁদের পুলিশ নানা তথ্যের ব্যাপারে জেরা করেছে, তাঁদের মধ্যে শিরোনামে এসেছেন শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, তৃণমূল কাউন্সিলর তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা, তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন ভৌমিক ও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। চার জনই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে মামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি তুলেছেন। গোদালাকে গ্রেফতার ও জামিনের ঘটনাটি সামনে রেখে কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্করবাবু রাস্তায় নেমে আন্দোলনও শুরু করেছেন। |