শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের দুর্নীতি মামলার ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু।
সোমবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের ব্যারাকপুর-টালিখোলায় দলীয় জনসভায় এসজেডিএ-র দুর্নীতি নিয়ে সরব হন বিমান। সভায় বিমানবাবু ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন স্কুলশিক্ষামন্ত্রী কান্তি বিশ্বাস, বনগাঁর প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক পঙ্কজ ঘোষ প্রমুখ। বিমানবাবু বলেন, “শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদে একশো কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। যে পুলিশ কমিশনার তদন্ত করতে চাইছিলেন, তাঁকে ‘ক্লোজ’ করে দেওয়া হল। এতেই বোঝা যায় এই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। কারণ তা হলেই ঝুলি থেকে বিড়াল বের হবে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে।” এর পাশাপাশি তিস্তা জলবন্টন চুক্তি না হওয়ার জন্য তিনি সরাসরি দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। |
তাঁর কথায়, “সমস্ত কথা দিল্লিতে হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঢাকা যাবেন বলে স্থির হয়। শেষ মুহূর্তে মমতা জানান, তিনি যাবেন না। বাংলাদেশ যা জল চেয়েছে তার কিছুটা তো দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সেদিকে নজর দিলেন না। এতে বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।”
জেলা সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় সিপিএম মোট ৪০টি জনসভা করবে। এ দিন ছিল তারই একটি। পরে কলকাতায় একটি বড় সভা করা হবে। এ দিনের জনসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন বিমানবাবু। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, তাঁদের সভা মিছিল করার অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা যে মাথা নুইয়ে বশ্যতা স্বীকার করবেন না তাও জানিয়ে দেন তিনি। সাম্প্রতিক টেট পরীক্ষার ফলাফলের সমালোচনা করে বিমানবাবু বলেন, “শুনছি, সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে।” সারদা কাণ্ডে গ্রেফতারের পর তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ যে ১২ জনের নাম জানিয়েছেন, তার সত্য-মিথ্যা যাচাই করা উচিত বলে এ দিন দাবি করেছেন বিমানবাবু। যদিও একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলেছেন তা করা হবে না।” |