|
|
|
|
৩৭০ নিয়ে বিতর্ক চেয়ে সমালোচনার মুখে মোদী |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
নরেন্দ্র মোদী চেয়েছিলেন যুক্তিপূর্ণ বিতর্ক। উল্টে দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সমালোচনা। রবিবার জম্মুর জনসভায় মোদী দাবি তুলেছিলেন সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক হোক। এই দাবির জন্য কালই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সমালোচকদের তালিকায় রয়েছেন পিডিপি নেতা নঈম আখতার, সদ্য এনডিএ ছেড়ে আসা নীতীশ কুমার, এবং হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানিও। চাপের মুখে পড়ে নিজের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন মোদী। সোমবার তিনি বলেন, “শুধু ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে নয়, আমি বিতর্ক চেয়েছি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুরবস্থা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।”
৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক চাওয়ার পাশাপাশি মোদী অভিযোগ করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মেয়েরা বৈষম্যের শিকার। তার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি ওমরের বোন সারার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। এর জবাবে ওমরের টুইট, “মোদী আমার এবং আমার বোনের উদাহরণ টেনে যা বলতে চেয়েছেন, তার সঙ্গে সত্যের কোনও সম্পর্ক নেই। হয় তিনি মিথ্যা বলছেন, নয় তিনি জানেন না।” ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্কের জন্যও বিজেপির যে কোনও নেতাকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি। সোমবার এর জবাবে বিজেপির বিধায়ক যুগল কিশোর শর্মা বলেন, “আমরা ওমরের চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
মোদীর দাবি উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেসও। দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, “আর মোদী যদি এই নিয়ে বিতর্ক চান, তবে তিনি তা বিজেপি বা সঙ্ঘের মধ্যে করতে পারেন।” মোদীর সমালোচনা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। তাঁর বক্তব্য, “আমি সংবিধানে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রাখার পক্ষপাতী। এ নিয়ে বিতর্ক করার অর্থ বিভাজন তৈরি করা। বিতর্ক করার জন্য দেশে অনেক কিছু রয়েছে।” মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হুরিয়ত নেতা গিলানিও। |
|
|
|
|
|