|
|
|
|
মাসুলের বর্ধিত হার নিয়ে ক্ষোভ, বাণিজ্য বন্ধ আখাউড়া সীমান্তে |
আশিস বসু • আগরতলা
২ ডিসেম্বর |
জাঁকজমক করে উদ্বোধনের কয়েকদিনের মধ্যেই থমকে গেল ভারত-বাংলাদেশ আখাউড়া সীমান্তে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’-এর (আইসিপি) মাধ্যমে ব্যবসা না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরার আমদানি-রফতানি সংস্থা। সংস্থার সম্পাদক মনীষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ওই চেকপোস্ট দিয়ে আমদানি এবং রফতানির মাসুল প্রায় তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। মাসুলের বর্ধিত হার না-কমালে ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না। ওই সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি সংস্থাকেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট কর্তৃপক্ষ দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আখাউড়া আইসিপি’র উচ্চপদস্থ কর্তা দেবাশিস নন্দী অবশ্য আমদানি-রফতানি সংস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মাসুল তিন গুণ বেশি নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।’’
আখাউড়ার ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট কেন্দ্রের দু’টি মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কৃষি মন্ত্রকে জানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত না-পেলে মাসুলের হারের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।’’
আইসিপি-র কর্তা রূপক সাহা জানান, ত্রিপুরার আমদানি-রফতানি সংস্থা ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, বাংলাদেশে থেকে জিনিস বোঝাই ট্রাক আখাউড়া সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আসেনি। আগরতলা থেকেও মালবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে রওনা হয়নি। গত কয়েকদিনে যে ট্রাকগুলি এসেছিল, সে গুলির মালপত্র খালি করে দেওয়া হচ্ছে।
আগরতলার আমাদানি-রফতানি সংস্থার সম্পাদক মনীষবাবুর অভিযোগ, আইসিপি-র গুদামে আমদানি করা জিনিস রাখার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। সব জিনিস এক জায়গাতেই রাখা হচ্ছে। খাদ্যবস্তুর সঙ্গে সিমেন্ট, পাথরকুচি রাখায় খাবারগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সরকারি হিসেবে, আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ব্যবসা বন্ধের জেরে প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মাসুল হারাচ্ছে আইসিপি সংস্থাটি। |
|
|
|
|
|