|
|
|
|
ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এ বার বিশেষ নৌঘাঁটি সাগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উত্তরবঙ্গের পরে এ বার সেনার নজর দক্ষিণেও!
বঙ্গোপসাগরের কাছে সাগরদ্বীপে একটি বিশেষ নৌঘাঁটি গড়া হচ্ছে। বেহালায় চালকবিহীন বিমান ঘাঁটি গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। নৌসেনার তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমোডর রবি অহলুওয়ালিয়া সোমবার বলেন, “সাগরদ্বীপে জমি চিহ্নিতকরণের কাজ প্রায় শেষ।” সম্প্রতি ওড়িশা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরেও চিনা যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাই সাগরদ্বীপে নৌঘাঁটি তৈরির বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
সেনা সূত্রের খবর, চিনের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখায় সামরিক শক্তি বাড়াতে উত্তরবঙ্গের ডামডিমে ঘাঁটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনাবাহিনী। জলপাইগুড়ির সগাঁওয়ে বিশেষ ঘাঁটি গড়বে বায়ুসেনাও। পানাগড়ের সেনা ছাউনিতে পার্বত্য যুদ্ধে পারদর্শী বিশেষ বাহিনী (মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর) এবং সদ্য কেনা সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমানের ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। সাগরদ্বীপের বিশেষ নৌঘাঁটিতে কী করা হবে?
নৌসেনা জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি হিসেবেই সাগরদ্বীপকে বেছে নেওয়া হয়েছে। অহলুওয়ালিয়া বলেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে এই ঘাঁটিকে নানা ভাবে ব্যবহার করা যাবে।” সাগরদ্বীপেই ঘাঁটি কেন?
নৌবাহিনীর কর্তারা জানান, পশ্চিমবঙ্গ উপকূল, সুন্দরবন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পরে ওই এলাকায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়। তৈরি হয় রাজ্যের উপকূল-পুলিশ বাহিনীও। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চৌকি আছে শামসেরনগরে। সুন্দরবনে জলপথে নজরদারি চালায় তারাও। কিন্তু তাতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ হয়নি বলেই নৌসেনা কর্তারা মনে করছেন। তাঁদের আশঙ্কা, সাগরদ্বীপ অরক্ষিত হওয়ায় ওই এলাকা দিয়ে শত্রুপক্ষের জাহাজ যখন-তখন ঢুকে পড়তে পারে।
সাগরদ্বীপে নতুন সমুদ্রবন্দর তৈরির বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে নৌসেনা। অহলুওয়ালিয়া জানান, ওই বন্দর হলে জলপথে ব্যবসা বাড়বে। দেশ-বিদেশের জাহাজে অস্ত্র বা বিস্ফোরকও আমদানি করা হতে পারে। তাই নতুন বন্দরের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার না-করলে বাড়তে পারে জঙ্গি হানার বিপদও।
শুধু জাহাজ বা ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি গড়েই যে নিরাপত্তা জোরদার করা যাবে না, তা মানন নৌ অফিসারেরা। তাঁরা জানান, ওই এলাকায় চালকবিহীন বিমান (ইউএভি) দিয়ে নজরদারির পরিকল্পনা আছে। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে এই ঘাঁটি গড়ার কথা চলছে। সে-ক্ষেত্রে পোরবন্দর, কোচি এবং তামিলনাড়ুর রামনাথপুরমের পরে বেহালায় নৌবাহিনীর চতুর্থ ইউএভি ঘাঁটি হবে। ইউএভি দিয়ে টানা ২৫-৩০ ঘণ্টা নজরদারি চালানো সম্ভব। তবে বেহালায় তড়িঘড়ি ঘাঁটি গড়া যাবে কি না, সন্দেহ আছে বাহিনীতেই। অহলুওয়ালিয়া জানান, বেহালায় জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এই বিষয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা।
বিএসএফ সূত্রের খবর, সুন্দরবনে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি চালাতে আরও ছ’টি ভ্রাম্যমাণ বর্ডার আউটপোস্ট গড়া হবে। এখন আছে তিনটি ভ্রাম্যমাণ বর্ডার আউটপোস্ট। |
|
|
|
|
|