|
|
|
|
মুম্বইয়ের রেস্তোরাঁয় পেঁয়াজ নিয়ে রক্তারক্তি |
সংবাদ সংস্থা • মুম্বই |
পেঁয়াজ চেয়ে মিলল মেজাজ। আর সেই সঙ্গে বেধড়ক মার। মুম্বইয়ের ময়ূর পিরাতি যাদবের অভিযোগ, তাতে এতটাই আহত তিনি যে চোখের ঠিক পাশে বারোটি সেলাই দিতে হয়েছে। কেন হঠাৎ মার খেলেন তিনি? উত্তর রয়েছে সেই পেঁয়াজে। দোষের মধ্যে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে একটু পেঁয়াজ চেয়েছিলেন। তা তো মিললই না। উল্টে তাঁকে এমন মারধর করলেন রেস্তোরাঁর কর্মীরা, যে বারোটি সেলাই নিয়ে আপাতত তিনি হাসপাতালে।
না আশ্চর্য হবেন না। শুক্রবার এমনটাই ঘটেছে মুম্বইয়ের মহম্মদ আলি রোডের এক রেস্তোরাঁয়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ওই রেস্তোরাঁয় নৈশাহার সারতে ছ’জন আত্মীয়-বন্ধুকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বছর তেইশের ময়ূর। ‘অর্ডার’ করেছিলেন মাংসের কিছু পদ এবং রান বিরিয়ানি। সবই এসেছিল সময় মতো। খাবারের সঙ্গে এক প্লেট পেঁয়াজও দিয়েছিলেন এক ‘ওয়েটার’। কিন্তু অতগুলো লোক, পদও নেহাৎ কম নয়। সব মিলিয়ে কাঁচা পেঁয়াজ কম পড়ে যায়। ওয়েটারকে ডেকে ময়ূর বলেন, আরও এক প্লেট পেঁয়াজ নিয়ে আসতে। ওয়েটার হ্যাঁও বলেন। কিন্তু বহু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও পেঁয়াজ না আসায় ফের এক বার ওয়েটারকে পেঁয়াজের কথা মনে করান ময়ূর। বিপত্তি বাঁধে তখনই।
ময়ূরের দাবি, তখন পেঁয়াজের চড়া দামের কথা বলতে শুরু করেন ওই ওয়েটার। প্রত্যুত্তরে পেঁয়াজের দাম কমে গিয়েছে এ কথা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলে হঠাৎ অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ওই ওয়েটার। বলেন, “আমাকে পেঁয়াজের দামের কথা বোঝাতে এসো না।” সেই সময় অন্য আর এক জন ওয়েটারও পাশে এসে দাঁড়ায় ওই ওয়েটারের। ময়ূরের অভিযোগ, দ্বিতীয় জন প্রথম ওয়েটারটির থেকেও বেশি উত্তেজিত ছিলেন। ময়ূরের কলার ধরে তাঁকে ঝাঁকাতে শুরু করেন। সামান্য তর্কাতর্কি পরিণত হয় মারামারিতে। বাকি খদ্দেরদের তখন রেস্তোরাঁ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন ওয়েটাররা। প্রাণভয়ে বেরিয়েও যান বাকিরা। আটকে রাখা হয় শুধুমাত্র ময়ূর এবং তাঁর ছয় আত্মীয়বন্ধুকে। অভিযোগ দরজা বন্ধ করে মারা হয় তাঁদের। ময়ূর জানাচ্ছেন, মারতে মারতে এক জন ওয়েটার আচমকাই খালি গ্লাস ছুড়ে মারে তাঁকে। তাতেই তাঁর চোখের পাশে আঘাত লাগে। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে শুরু করে। আর তার পরেই ঘাবড়ে গিয়ে তাঁকে ও তাঁর আত্মীয়বন্ধুদের রেস্তোরাঁর বাইরে ছুড়ে ফেলে দেন ওয়েটাররা। সেখান থেকে সোজা পাইধোনি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ জানান ময়ূর। গ্রেফতার করা হয়েছে রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মহম্মদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ওয়েটার ব্রিজবান আসারাম সিংহকে। রেস্তোরাঁর এক মালিক তথা সমাজবাদী পার্টির আবু আজমি বলেন, “রেস্তোরাঁর ভাবমূর্তি এর ফলে ধাক্কা খাবে।”
রেস্তোরাঁর ভাবমূর্তি ধাক্কা খাক বা না খাক, পেঁয়াজের বদলে যে বড়সড় ধাক্কাটি খেয়েছেন ময়ূর, তা ভুলতে কিন্তু তার বেশ ক’দিন সময় লাগবে। |
|
|
|
|
|