মুক্তমঞ্চ নেই, ম্যারাপ বেঁধে অনুষ্ঠান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
বছরের পর বছর গ্রামের মানুষ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন। কিন্তু সবই হচ্ছে হল ভাড়া করে বা ফাঁকা জায়গায় ম্যারাপ বেঁধে অস্থায়ী মঞ্চ করে। কী করা যাবে। গ্রামে যে কোনও মুক্ত মঞ্চই নেই। এই পরিস্থিতিতে বুদবুদ থানার মানকর গ্রামে একটি মুক্ত মঞ্চ গড়ার দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
মানকরের মতো বড় এবং প্রাচীন গ্রামে বছরভর নানা আয়োজিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দাদের আক্ষেপ, যাবতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তাঁদের হল ভাড়া নিতে হয়। কখনও খোলা মাঠে ম্যারাপ বেঁধে অস্থায়ী মঞ্চ করেও হয় অনুষ্ঠান। ফলে অনেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার থেকে পিছিয়ে আসেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু ছোট ছোট গ্রামেও একটি করে মুক্ত মঞ্চ থাকে। অথচ এত বড় গ্রামে একটিও মুক্ত মঞ্চ নেই। এলাকার বাসিন্দা তথা কবি আনন্দগোপাল গোস্বামী আক্ষেপ, মানকরের মতো গ্রামে একটিও মুক্ত মঞ্চ নেই। অথচ এই গ্রাম সাংস্কৃতিক চর্চার দিক থেকে গোটা এলাকার মধ্যে অনন্য। তিনি বলেন, “এখানে একটি মুক্ত মঞ্চ গড়া হলে গ্রামের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি চেতনা অনেকটা প্রসারিত হবে। এলাকার আর্থিক দিক থেকে দুর্বল অনেকে নিজেদের পছন্দমতো অনুষ্ঠান করতে পারবেন।”
এলাকায় একটি মুক্ত মঞ্চ হলে গ্রামীণ শিল্পীদেরও শিল্পকলা চর্চায় উৎসাহ বাড়বে সে কথা বলছেন এলাকার গ্রামীণ যাত্রাশিল্পীরা। এমনই এক গ্রামীণ যাত্রাশিল্পী কিশোরকুমার ঘোষ বলেন, “আমাদের গ্রামে যাত্রার চল বহু দিনের। গ্রামীণ শিল্পীরা নিজেরাই অভিনয় করেন। নতুন প্রজন্মকে এই শিল্পে টানতে এলাকায় একটি মুক্ত মঞ্চ খুবই সাহায্য করবে।” এলাকার বাসিন্দা সুকুমার পাল জানান, এই গ্রামে মুক্ত মঞ্চের দাবি বহু দিনের। তিনি আরও জানান, এখানে একটি প্রেক্ষাগৃহ থাকলেও তা শিল্পী বা শ্রোতা দর্শকদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। কাজেই একটি মুক্ত মঞ্চ গড়ে সেই চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব। সুকুমারবাবু বলেন, “এ বিষয়ে আমরা জেলাশাসকের কাছে একটি আবেদন পত্র পাঠিয়েছি। আশা করি উনি ব্যবস্থা করবেন।” |