লগ্নি সংস্থার অফিসে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
সোসাইটি অ্যাক্টে টাকা তোলার অপরাধে অর্থলগ্নি সংস্থার অফিসে জেলাশাসকের নির্দেশে তালা লাগালো ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ সমাদ্দার। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে চক্রগ্রুপের একটি অফিসে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের একটি দল ওই অর্থলগ্নি সংস্থার অফিসে আসেন। নানা কাগজ পত্র পরীক্ষা করে সন্ধ্যা ৬টার সময় তালা লাগিয়ে দেন। সেই সময় অফিসে দুজন মহিলা কর্মী-সহ এক এজেন্ট ছিলেন। পুলিশের ঘেরাটোপে মহিলা কর্মীদের বাইরে বের করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এজেন্ট জানান, কিছু দরকারী কাগজপত্র নিতে কার্যালয়ে এসেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “এসেই এই বিপদের মধ্যে পড়েছি।” জেলাশাসক সৌমিত্রমোহন জানান, তাঁদের কাছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দেওয়া কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না। তবে তাঁদের কাছে খবর ছিল, সোসাইটি অ্যাক্টে সংস্থাটি বাজার থেকে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তুলছে। সরকারের কোনও নিয়ম নীতি না মেনে তারা টাকা তুলছিল। এই খবরের ভিত্তিতে এদিন এই পদক্ষেপ নেওয়া হল বলে জানান জেলাশাসক। তিনি বলেন, “সংস্থাটি সঠিক কাগজপত্র দেখালে সেটা বিচার্য বিষয়।”
|
চার বাংলাদেশি জেল হাজতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুই মহিলা-সহ চার বাংলাদেশি নাগরিককে দু’বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিল আসানসোল আদালত। সোমবার আসানসোল আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক তপনকুমার দাস এই সাজা শোনান। একই সঙ্গে তিনি পুলিশকে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলেছেন। আসানসোল আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসের প্রধান সরকারি আইনজীবী স্বরাজ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চারজনের নাম ইমানুল হক, আজিজুল ফকির, নিলোফার বিশ্বাস ও সুমি দাস ওরফে সুফিয়া। ২০১২ সালের ১ জুন কুলটি থানার পুলিশ এদের নিয়ামতপুর সংলগ্ন লছিপুরের যৌনপল্লি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে প্রথমে এই চার জন নিজেদের ভারতের নাগরিক বলে দাবি করলেও তার প্রমাণ স্বরূপ কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। পরে পুলিশের জেরায় তারা অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে। শুনানির সময় বিচারকের কাছেও এরা নিজেদের বাংলাদেশি বলেই পরিচয় দেয়।
|
কাউন্সিলরের পদ খারিজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে আসানসোল পুরসভার চার কংগ্রেস কাউন্সিলরের প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক আকাশ মুখোপাধ্যায় সোমবার জানান, মানস দাস, শিবদাস চট্টোপাধ্যায়, গোলাম সরওয়ার, অঞ্জনা শর্মা এই চার কাউন্সিলরের প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। আকাশবাবু বলেন, “এরা নিষেধ সত্ত্বেও তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাত গড়ে তুলেছেন। যা দলের নীতিবিরুদ্ধ। বারবার সতর্ক করা হলেও তাঁরা নেতৃত্বকে অগ্রাহ্য করেছেন। ফলে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে।” এই চার কাউন্সিলরের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, এই চার কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি পাকাপাকি হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যেই তাঁদের দলে নেওয়ার কথা।
|
গুদামে আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
গুদামে আগুন লেগে পুড়ে গেল বেশ কিছু জিনিসপত্র। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ট্রাঙ্ক রোড সংলগ্ন একটি ছোট গুদামে। দমকলের একটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছিল। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন লাগে গুদামটিতে। সেখানে মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ রাখা ছিল। গুদামের মালিক দীপক রায় জানান, নির্মল বণিক নামে এক ব্যক্তির কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি গুদাম বানিয়েছেন। সেখানেই আগুন লাগে। আগুনে বেশ কিছু ফাইবারের তৈরি সামগ্রী পুড়ে যায়।
|
নেতার মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সরোজাক্ষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হল। সোমবার রানিগঞ্জের তিরাট গ্রামে নিজের বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৮৩ সালে পঞ্চায়েত গঠনের আগে পর্যন্ত তিনি রানিগঞ্জ ইউনিয়ন বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আসানসোলের সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী।
|
দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে আসানসোল পুরসভার চার কংগ্রেস কাউন্সিলরের প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক আকাশ মুখোপাধ্যায় সোমবার জানান, মানস দাস, শিবদাস চট্টোপাধ্যায়, গোলাম সরওয়ার, অঞ্জনা শর্মা এই চার কাউন্সিলরের প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। আকাশবাবু বলেন, “এরা নিষেধ সত্ত্বেও তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাত গড়ে তুলেছেন। যা দলের নীতি বিরুদ্ধ। বারবার সতর্ক করা হলেও তাঁরা নেতৃত্বকে অগ্রাহ্য করেছেন। ফলে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে।” এই চার কাউন্সিলরের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, এই চার কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি পাকাপাকি হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যেই তাঁদের দলে নেওয়ার কথা। |