নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
জিটিএ এলাকার স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নতি, শিক্ষক নিয়োগ সহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব বৈঠক করলেন দাজির্লিঙের লালকুঠিতে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে, পাহাড়ের নানা স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করতে জিটিএ-এর পৃথক স্কুল সার্ভিস কমিশন গঠন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওই বিষয়ে ৪ ডিসেম্বর কলকাতায় স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের সঙ্গে জিটিএ-এর বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক হবে বলে এদিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকের পরে অর্ণব রায় বলেন, “একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা বয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা চলছে।” জিটিএ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ রমেশ আলে সহ অনান্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জিটিএ-এর শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য তথা বিধায়ক রোশন গিরি বলেন, “মূলত যে তিনটে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলি হল পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ, কয়েকটি স্কুলের পরিকাঠামোগত সংস্কার এবং জিটিএ-এর জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন গঠন। সবকটি ক্ষেত্রেই বিস্তারিত প্রকল্প এবং আনুমানিক ব্যয় জানতে চেয়েছে শিক্ষা দফতর।”
জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, পাহাড়ে ৮৩টি জুনিয়র হাই স্কুল তৈরি করা হবে বলে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জিটিএ-র জন্য পৃথক প্রাথমিক স্কুল বোর্ড গঠন, পাহাড়ের প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসন বাড়ানোর প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। পাহাড়ের বিভিন্ন মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণের প্রস্তাবও রাজ্যকে সরকারকে পাঠানো হবে বলে বৈঠকে স্থির হয়েছে। জিটিএ এলাকায় ৭৭৪টি প্রাথমিক স্কুল এবং ৫৪টি মাধ্যমিক স্কুল এবং ৬০টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। |