লোকসভা ভোটের আগে সিপিএম যখন জোরকদমে সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক সেই সময় রদবদল আনা হল দলের যুব-সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বে। বর্ধমানের আভাস রায়চৌধুরীর জায়গায় ডিওয়াইএফের নতুন রাজ্য সভাপতি হলেন উত্তর ২৪ পরগনার সায়নদীপ মিত্র। সেই সঙ্গে যুবদের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ঢোকানো হল পাঁচ নতুন মুখ। যে কোনও আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুব সংগঠনের যেহেতু বড় ভূমিকা থাকে, তাই এই পরিবর্তনকে সিপিএম রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
বুধবার থেকে ডিওয়াইএফের রাজ্য কমিটির দু’দিন ব্যাপী বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছিল দিঘায়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রদবদলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ দিন সেখানে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর মহম্মদ সেলিম। পঞ্চায়েত ভোটে শোচনীয় ফল এবং পুর-নির্বাচনে ময়দান ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরে সিপিএমের অন্দরে বর্ধমান জেলা এখন যথেষ্ট কোণঠাসা। তুলনায় ভাল জায়গায় গৌতম দেবের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা, যারা কিছুটা হলেও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে বলে সিপিএম নেতৃত্ব মনে করেন। বর্ধমানের আভাসবাবুর জায়গায় উত্তর ২৪ পরগনার সায়নদীপ যুব সভাপতি হওয়ায় দলে গৌতমবাবুদের প্রভাব বাড়ল বলেই সিপিএম সূত্রের ব্যাখ্যা। বেলঘরিয়ার সায়নদীপ এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক এবং রাজ্য সভাপতি থাকার সময় থেকেই গৌতমবাবুর স্নেহভাজন। তাই এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে সিপিএমের অন্দরে মনে করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে ডিওয়াইএফ অবশ্য এই ব্যাখ্যায় যেতে নারাজ। আভাসবাবু জানান, তিনি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক জামির মোল্লার বক্তব্য, “সাধারণ ভাবে চল্লিশ পেরোলে আর যুব সংগঠনে রাখা হয় না। আভাসদা সে জন্যই অব্যাহতি নিয়েছেন। উনি সরে যাওয়ায় ও পাঁচ নতুন মুখ আসায় আমাদের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এখন হল ২৪।” |