গ্যাসের ট্যাঙ্কার চায়ের দোকানে ঢুকে গিয়ে মৃত্যু হল তিন জনের। বৃহস্পতিবার সকালে নদিয়ার হরিণঘাটার বড় জাগুলিয়া মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের এই দুর্ঘটনায় মৃতরা হলেন শঙ্কর বাগ (৫০), নরেন সরকার (৫১) ও চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (৪৫)।
ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও পাঁচজন। গ্যাসের ট্যাঙ্কার ও তার চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রানাঘাটের এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যাঙ্কারটি দোকানে ঢুকে গিয়েছিল। দুঘর্র্টনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের ওই চায়ের দোকানে ভিড় ছিল খদ্দেরের। সেই সময় কাঁচাড়াপাড়া থেকে রানাঘাটের দিকে যাচ্ছিল ওই গ্যাসের ট্যাঙ্কারটি। বড় জাগুলিয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বাঁ দিকে মোড় নিতে যাওয়ার সময়ই ঘটে বিপত্তি। জাতীয় সড়কে ওঠা মাত্রই বাঁ দিকে না ঘুরে বিপরীত দিকে ওই চায়ের দোকানে ঢুকে যায় ওই ট্যাঙ্কারটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রোজদিনের মতোই এ দিনও সকালে বেশ ভিড় ছিল জাগুলিয়া মোড়ে। চায়ের দোকানেও ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জাগুলিয়া মোড় এলাকায় রাস্তা ভাল থাকায় গ্যাসের ট্যাঙ্কারটিরও গতি ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা অনিল হালদার, কার্তিক বিশ্বাসরা বলেন, “হঠাৎ দেখলাম দ্রুত গতিতে গ্যাসের ওই ট্যাঙ্কারটি ওই চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ল। আমরা তাড়াতাড়ি দোকানের দিকে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে চায়ের দোকানের মালিক-সহ মোট তিনজন।” তাঁরা বলেন, “ঘটনাস্থলের পাশেই ছিল ট্রান্সফর্মার। ট্যাঙ্কারটি উল্টে গেলে আরও বড় রকমের বিপদ ঘটে যেতে পারত।”
ঘটনাস্থলেই মারা যান দোকানের মালিক বিরহীর বাসিন্দা নরেনবাবু। একই পরিণতি হয় শঙ্করবাবু ও গৌরবাবুরও। জানা গিয়েছে, সিমহাটের বাসিন্দা শঙ্করবাবু পেশায় দিন মজুর এবং মন্ডোরীর বাসিন্দা গৌরবাবু পেশায় একটি লজের কেয়ারটেকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দোকান থেকে গাড়িটিকে সরানের কাজ শুরু হয়। এর ফলে প্রায় দু’ ঘণ্টা জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। |