শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার বার্ধক্য ভাতা তুলে নেওয়ার ঘটনায় বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠল।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানার পরেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর প্রদীপ নন্দীর নেতৃত্বে এক দল কর্মী-সমর্থক নতুন বাজার এলাকায় বহরমপুর শাখার ওই ব্যাঙ্কে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ঘেরাও করে রাখারও অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল শুধরে নিয়েছে। কাউন্সিলর তৃণমূলের প্রদীপ নন্দী বলেন, “পুরভোটের আগে গত ১৮ নভেম্বর পুরসভা ওই বার্ধক্য ভাতা এলাকার বাসিন্দাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু কংগ্রেসের লোকজন ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ফর্ম নিয়ে যায়। এর পরে যারা বার্ধক্য ভাতা পাবেন তাদের কাছ থেকে ওই টাকা তোলার ফর্মে টিপ সই দিয়ে ব্যাঙ্কে জমা দেয়। এতে একজনের ভাতার টাকা অন্য জনের পক্ষে তুলে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। গোটা বিষয়টি ব্যাঙ্ক কতৃর্পক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।” |
জানা গিয়েছে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মালতি ঘোষ নামে এক জন বাসিন্দার বার্ধক্য ভাতা অন্য এক জন তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদায়ী কাউন্সিলর কংগ্রেসের হিরু হালদার বলেন, “ব্যাঙ্কের গাফিলতিতে ওই ঘটনা ঘটেছে। অথচ এলাকার কংগ্রেস কর্মী প্রবীর হালদার ঘটনার খবর পেয়ে ব্যাঙ্কে গেলে তাকে মারধর করে তৃণমূলের ভক্তি হালদার। ঘটনা জানিয়ে বহরমপুর থানায় অভিযোগ হয়েছে।” ভক্তি হালদার অবশ্য বলেন, “মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওই কংগ্রেস কর্মী ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ফর্ম তুলে নিয়ে গিয়ে বাসিন্দাদের কাছ থেকে সই করিয়ে ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছে। তাই ঘটনা জানানোর জন্য তাঁকেও ব্যাঙ্কে থাকার অনুরোধ করি।”
হিরু দালদার বলেন, “বার্ধক্য ভাতার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এলাকার নিরক্ষর এবং বয়স্ক মানুষ ওই টাকা তুলতে গেলে ব্যাঙ্ক তাদের হয়রান করে। তাই এলাকার কংগ্রেস কর্মীরা টাকা তোলার ফর্ম নিয়ে এসে তাদের সই করে টাকা তুলতে সাহায্য করে। ওই ঘটনায় কংগ্রেস কর্মীরা জড়িত নই।” |