|
|
|
|
ঠিকানা অসম্পূর্ণ, ডাকঘরে পড়ে ১৫ হাজার আধার কার্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
প্রাপকের নাম থাকলেও ঠিকানা অসম্পূর্ণ। তাই বিলি করা যাচ্ছে না আধার কার্ড। এই মুহূর্তে তমলুক মুখ্য ডাকঘরে এই ধরনের প্রায় ১৫ হাজার আধার কার্ড জমা পড়ে রয়েছে।
ওই সব কার্ডের প্রাপকের অধিকাংশের ঠিকানার জায়গায় শুধুমাত্র তমলুক উল্লেখ করা থাকলেও গ্রাম বা ওয়ার্ড নম্বর কিছুই নেই। সে জন্যই তা বিলি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তমলুকের হেড পোস্টমাস্টার সুধাংশুশেখর রায়। সুধাংশুবাবু বলেন, “মাস খানেক আগে আমাদের ডাকঘরে প্রায় ১৯ হাজার আধার কার্ড এসেছিল। তা বিলি করতে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ আধার কার্ডে প্রাপকের নাম থাকলেও ঠিকানার জায়গায় শুধু তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর লেখা রয়েছে। যে ৪ হাজার আধার কার্ডে সম্পূর্ণ ঠিকানা ছিল, তা বিলি করা গেলেও প্রায় ১৫ হাজার কার্ড বিলি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হয়েছে।” ডাক বিভাগের তমলুক ডিভিশনের সুপারিন্টেনডেন্ট শ্যামলকুমার হাজরা বলেন, “ডাকযোগে আসা চিঠি বা সামগ্রীর প্রাপকের সম্পূর্ণ ঠিকানা না থাকলে আমাদের পক্ষে তা বিলি করা সম্ভব নয়।” পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্যও সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “ঠিকানা অসম্পূর্ণ থাকায় আধার কার্ড বিলি নিয়ে সমস্যার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ নিয়ে আধার কার্ড তৈরির দ্বায়িত্বে থাকা সংস্থার সঙ্গেও কথা হয়েছে। সংশোধিত আধার কার্ড দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
কিন্তু কেন এই সমস্যা?
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারে শহরের বাসিন্দাদের ঠিকানা উল্লেখ করার জন্য যে ভাবে রাস্তার নামকরণ করার দরকার, তা তমলুক শহরে নেই। মূলত সেই জন্যই সমস্যা হচ্ছে। সমস্যার কথা মানছেম তমলুকের পুরপ্রধান দেবিকা মাইতিও। দেবিকাদেবী বলেন, “শহরের অধিকাংশ রাস্তার নামকরণ নেই এটা ঠিক। শহরের রাস্তার নামকরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসন ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরের বাসিন্দাদের আধার কার্ড তৈরির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে শিবির করে ছবি তোলা হয়েছিল। এরপর শহরের বাসিন্দাদের একাংশের আধার কার্ড তৈরি করে তমলুক মুখ্য ডাকঘরে পাঠানো হয়েছিল বিলি করার জন্য। তারপরই ঠিকানার সমস্যার বিষয়টি সামনে আসে। |
|
|
|
|
|