|
|
|
|
কাজে গতি আনতে জোর বিডিও-সভাপতিদের সমন্বয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর সঠিক পরিকল্পনা করতে হলে পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে বিডিও’র সমন্বয়ও ভীষণ জরুরি। বিশেষত, এ বার পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রায় সবই নতুন মুখ। তৃণমূলের দখলে থাকা এই সব পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই অনভিজ্ঞ। তাই প্রশাসন ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দু’পক্ষের মধ্যে সমন্বয় রেখে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার জেলা পরিকল্পনা ভবনে বিডিও এবং সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে সে কথাই জানিয়েছেন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি বলেন, “সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত সমস্ত প্রকল্প রূপায়ণ করতে হবে। কী ভাবে তা করা হবে তা নিয়ে আলোচনার জন্যই এ দিনের বৈঠক।” জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী চান দ্রুত কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এই বৈঠক।”
এখন থেকে প্রতি মাসে এমন বৈঠক হবে। সেখানে কাজের হিসেব খতিয়ে দেখা হবে। কোথাও গাফিলতি থাকলে কেবল বিডিও নয় জবাবদিহি চাওয়া হবে সভাপতিদের কাছেও। সে জবাব সন্তোষজনক না হলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিডিওদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবেন জেলাশাসক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন সভাধিপতি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় পঞ্চায়েত সমিতি গঠন হয়েছে কয়েকমাস হয়ে গেল। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কাজ দেখা যাচ্ছে না। |
|
জেলা পরিষদ ভবনে প্রশাসনিক বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র। |
এমনকি কিছু ক্ষেত্রে বিডিও-র সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির মত বিরোধও দেখা যাচ্ছে। কোথাও বিডিও একশো দিনের কাজে জোর দিতে চাইলে পঞ্চায়েত সমিতি রাস্তার উপর জোর দিতে চাইছেন, আবার কোথাও বিডিও গৃহ-নির্মাণ প্রকল্পে জোর দিতে চাইলে পঞ্চায়েত সমিতি আপাতত সে কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ দিনের বৈঠকে অবশ্য জানানো হয়েছে, প্রতিটি কাজই দ্রুত গতিতে করতে হবে। একশ দিনের প্রকল্পে যেমন কাজ করতে হবে তেমনি ইন্দিরা আবাস যোজনা, ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যান দফতর, বার্ধক্য-বিধবা-প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া, সংখ্যালঘুদের প্রকল্প রূপায়ন - কোনও ব্যাপারেই ঢিলেমি চলবে না। এক্ষেত্রে প্রতি বৈঠকেই রিপোর্ট সংগ্রহ করা হবে। কোনও ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে সমস্যা দুর করার জন্য ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। কিন্তু কাজ হয়নি, এমনটা বলা যাবে না বলেই বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জেলায় একশ দিনের প্রকল্পে কাজের গতি অতি মন্থর। বিশেষত, জেলার ১৩টি ব্লক এই প্রকল্প রূপায়ণে অনেকটাই পিছিয়ে। একশো দিনের প্রকল্পে জেলাকে আরও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই সঙ্গে গৃহনির্মাণ প্রকল্প, ভারত নির্মাণ অভিযান প্রকল্পে শৌচাগার তৈরি, রাস্তা নির্মাণ, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের সমস্ত প্রকল্প সব ক্ষেত্রেই দ্রুত প্রকল্প রূপায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকেই অবশ্য বোঝা যাবে, বৈঠকের সুফল কতটা মিলল। |
|
|
|
|
|