প্রকাশ্যে ফের গুলি চলল হুগলিতে। হুগলি স্টেশন রোডের পরে এ বার ভদ্রেশ্বরে। বৃহস্পতিবারের রাত। ভদ্রেশ্বরের জিটি রোড ঘেঁষা চাঁপদানি বাজার ক্রেতার ভিড়ে সরগরম। এমন সময় দোকানে বসা এক ব্যবসায়ীকে পরপর তিনটি গুলি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক দুষ্কৃতীর। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম সুভাষ সাউ। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
চাঁপদানি বাজারে বছর তিরিশেকের সুভাষবাবুর বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে। তিনি এলাকার দীর্ঘদিনের পরিচিত ব্যবসায়ী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁর দোকানের কর্মচারীরা খেতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে হনুমান টুপি পরা তিন দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে সুভাষবাবুকে লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করে। সামান্য প্রতিরোধ করার সুযোগও পাননি ওই ব্যবসায়ী। একটি গুলি লাগে তাঁর মাথায়। অন্য দু’টি গুলি কাঁধে ও হাতে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির আওয়াজ পেয়ে প্রথম দিকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকার মানুষজন ওই দোকানের দিকে ছুটে আসেন।
গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর দোকানের পাশেই তেলেভাজা বিক্রি করেন প্রদীপ সাউ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই দোকানির কথায়, “গুলির শব্দ পেয়ে বেরিয়ে দেখি সুভাষদার দোকান থেকে বেরিয়ে তিন জন দৌড়ে পালাচ্ছে। দোকানে সুভাষবাবু একাই ছিলেন।”
জনতা ধাওয়া করে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। বেগতিক বুঝে অন্য দুই দুষ্কৃতী গা-ঢাকা দেয়। জনতার মারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দুষ্কৃতীর। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। হুগলির পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঠিক কী কারণে ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করা হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” |