কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদন কম
মেলায় বিলি থমকে আরামবাগে
প্রকল্পে ছাত্রীদের অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনপত্রের চাহিদা রয়েছে। অথচ, রাজ্য সরকারের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে দ্বিতীয় দফার উপভোক্তা নির্বাচনের জন্য আরামবাগ মহকুমায় আবেদনপত্র বিলি এখনও শুরুই হল না। হুগলির অন্য মহকুমাগুলিতে অবশ্য আবেদনপত্র বিলি চলছে। তবে, সেখানেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে অভিযোগ উঠছে।
আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের দাবি, মহকুমায় স্কুলের সংখ্যা ২১৫টি। জেলা থেকে প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট আবেদনপত্র মহকুমাশাসকের দফতরে এ পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে মাত্র ছ’হাজার। স্কুলগুলিও কাকে ছেড়ে কাকে সেই আবেদনপত্র দেবে, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকায় আবেদনপত্র তুলছে না। ফলে, শুরুতেই মহকুমায় হোঁচট খাচ্ছে ওই প্রকল্প। বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আবেদনপত্র কম আসার ফলে সমস্যা যেমন হচ্ছে, তেমনই তা অনলাইনে পাঠানোর নির্দেশিকাও অনেক ক্ষেত্রে মানতে সমস্যা হচ্ছে। কেননা, অনেক স্কুলে কম্পিউটার নেই। কিছু স্কুলে তা থাকলেও প্রয়োজনীয় সংযোগ বা সরঞ্জাম নেই।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) আবিদ হোসেন বলেন, “আমারা দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য দু’দফায় মোট সাড়ে ১৩ হাজার আবেদনপত্র জেলার চারটি মহকুমায় পাঠিয়েছি। সংখ্যাটা কম ঠিকই। পর্যায়ক্রমে তা দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে অগ্রধিকারের ভিত্তিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য ওই আবেদনপত্র বিলি করতে হবে। শীঘ্রই অন্যান্য শ্রেণির ছাত্রীদের জন্যও তা পাঠানো হচ্ছে।” জেলা স্কুল পরিদর্শক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “এখানে সাড়ে ৭০০-রও বেশি স্কুল রয়েছে। আবেদনপত্র নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। তা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে।
আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম রায় বৃহস্পতিবার বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে ছ’হাজার আবেদনপত্র এসেছে। আরও আবেদনপত্রের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।” সমস্যা মেটাতে মহকুমার স্কুলগুলিকে নিয়ে আজ, শুক্রবার মহকুমাশাসক বিশেষ বৈঠকে বসছেন। বৈঠকে আবেদনপত্রগুলি বিলি করার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া স্থির করা হবে। সেখানে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের আরামবাগ শাখার আধিকারিকেরা থাকবেন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেরও।
গরিব পরিবারের মেয়েদের পড়াশোনার কথা ভেবেই ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। যে সব পরিবারের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বা তার কম, সেই সব পরিবারের মেয়েরাই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের বছরে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে বয়স ১৮ বছর হলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা পাবে তারা। গত ১ অক্টোবর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম পর্যায়ে জেলার ৩৫টি স্কুল এবং হোমের প্রায় সাড়ে ছ’শো ছাত্রীকে প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। উপভোক্তাদের জন্য বিভিন্ন সরকারি ব্যাঙ্কে ‘জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট’ খোলা হচ্ছে।
আরামবাগ বড়ডোঙ্গল রমানাথ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক বিভাস মুখোপাধ্যায় বলেন, “মহকুমার ২১৫টি স্কুলপিছু ওই প্রকল্পের উপভোক্তা যদি কম করেও ৩০০ জন হয়, তা হলে ৬০ হাজার আবেদনপত্র লাগবে। সেখানে মাত্র ছ’হাজার আবেদনপত্র আমরা কোথায় বিলি করব? এ নিয়ে গোলমাল হচ্ছে। কেউই ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নন। আমরা মহকুমাশাসককে প্রস্তাব দিয়েছি, এই পর্বে কেবল দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের মধ্যে যারা যোগ্য, তাদের আবেদনপত্র দেওয়া হোক।” চন্দননগর মহকুমার বিভিন্ন স্কুলে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ন’হাজার আবেদনপত্র বিলি করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। একই ছবি অন্য মহকুমারও।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.