|
|
|
|
পাঁচ রাজ্যে মোদী-প্রভাব বুঝতে বৈঠক সঙ্ঘের |
দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় • নয়াদিল্লি |
ডিসেম্বরের গোড়াতেই বেরোচ্ছে পাঁচ বিধানসভা ভোটের ফল। সেই ফল সামনে রেখে বৈঠকে বসবেন আরএসএসের শীর্ষ নেতারা। বিধানসভা ভোটে মোদী প্রভাবের বিশ্লেষণ করে লোকসভা ভোটের কৌশল স্থির করতে চান তাঁরা। নাগপুরে ওই বৈঠকে হাজির থাকার কথা বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহেরও।
আরএসএস সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ ও মিজোরামে ভোট হয়েছে। বাকি রয়েছে দিল্লি ও রাজস্থান। মিজোরামে বিজেপি ক্ষমতায় আসার কথা ভাবে না। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ে যে বিপুল পরিমাণ ভোট পড়েছে, তাতে উচ্ছ্বসিত সঙ্ঘ শিবির। এই দুই রাজ্যে দশ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সঙ্ঘের ধারণা, দুই রাজ্যেই বিজেপি জিতবে। সঙ্ঘ নেতাদের মতে, বিপুল পরিমাণ ভোট পড়ার পিছনে ওই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান ও রমন সিংহের অবদান আছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর প্রভাবকেও অস্বীকার করা যায় না।
আরএসএসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও মোদীকে পছন্দ করছেন আম জনতা। ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী এলাকাতেও ৭০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে। দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৭৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। মাওবাদী অধ্যুষিত দন্তেওয়াড়া, বস্তার, জগদলপুরে কোথাও ৬০ শতাংশের কম ভোট পড়েনি। মধ্যপ্রদেশেও একই ভাবে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা গত বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে বেশি।
রাজস্থানে কংগ্রেসকে হারানো নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী বিজেপি। তবে দিল্লিতে জেতার আশা করছে না তারা। কিন্তু বিপুল ভোট পড়লে কি সব সময়ে ক্ষমতাসীন দলের লাভ হয়? সঙ্ঘ নেতারা মানছেন, তা সব সময়ে হয় না। সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার মানসিকতা থাকলেও অনেক সময় বেশি ভোট পড়ে।
কিন্তু তাঁদের দাবি, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ় থেকে বিজেপির পক্ষে ভাল খবরই আসছে। রাজস্থানেও অশোক গহলৌত সরকারের হারার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু এই জয়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রভাব বুঝতে হবে। কারণ, বিধানসভা ভোটে মোদী প্রচার করলেও সেই রাজ্যের স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণ ভোটে প্রভাব ফেলে। তাই মোদীর প্রভাব বুঝতে আলাদা ভাবে বৈঠক করার প্রয়োজন।
নাগপুরে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর সেই বৈঠকেই বসবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত-সহ শীর্ষ আরএসএস নেতৃত্ব। বিজেপি সভাপতির সঙ্গে কথা বলার পরে স্থির করা হবে লোকসভা ভোটের কৌশল। আরএসএস সূত্রে খবর, রাজনাথ ছাড়াও মোদী ও অন্য শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।
সঙ্ঘ নেতাদের মতে, লোকসভা ভোটে স্থানীয় সমীকরণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, কংগ্রেস মোদীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালেও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুলের নাম ঘোষণা করতে পারেনি। বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করবেন তাঁরা।
|
|
|
|
|
|