নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কালনা আদালত। বৃহস্পতিবার কালনা ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অখিলেশ পাণ্ডে ওই রায় শোনান। পূর্বস্থলীর ডাঙাপাড়া গ্রামের ওই যুবক মোনাজাত শেখকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ২১শে মে ওই নাবালিকার মা পূর্বস্থলী থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ৮ মে তাঁর বড় মেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাঁরা জানতে পারেন, মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটি জানায়, প্রতিবেশী মোনাজাত শেখ তাকে ভয় দেখিয়ে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর পূর্বস্থলী থানা একটি ধর্ষণের মামলা রুজু করে। এ বছরের ২৫ জুন কালনা আদালতের তৎকালীন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় চৌধুরীকে একটি লিখিত জবানবন্দি দেয় ওই নাবালিকা। তাতে সে জানায়, মোনাজাতের সঙ্গে এক বছর ধরে তার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মোনাজাতের বাবা সম্পর্ক মানতে চাননি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোনাজাত তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলেও সে জানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা ওই নাবালিকাকে অগস্ট মাসে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। ৫ অগস্ট সে তিনটি অপুষ্ট কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। দু’জন জন্মের দিনেই মারা যায়। অন্য একজনের পরের দিন মৃত্যু হয়। ওই মামলার সরকারি আইনজীবী অরূপ ভট্টাচার্য জানান, ওই নাবালিকা, তার তিন সন্তান এবং মোনাজাতের রক্তের নমুনা পুলিশ সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। সেখান থেকে যে রিপোর্ট আসে তাতে প্রমাণ হয়ে যায় মোনাজাতই ওই তিনজনের বাবা। এই মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষ্য দেয়। তবে এ দিন রায় ঘোষণার পর মোনাজাতের আত্মীয়েরা জানান, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। |