দু’টি আলুর ট্রাক আটক কোচবিহারে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
মঙ্গলবার গভীর রাতে অসম লাগোয়া কোচবিহারের বক্সিরহাট এলাকায় আলু বোঝাই দুটি ট্রাক আটক করেছে পুলিশ, গ্রেফতার করা হয়েছে ট্রাকের দুই চালককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের দু’জনের মধ্যে একজন অসমের, অন্যজন আলিপুরদুয়ার লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের থেকে বিহারের গোলাপবাগ এলাকা থেকে আলু নিয়ে যাওয়ার ভুয়ো চালান উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ভুয়ো নথিতে ডালখোলা চেকপোস্টের একটি সিল ছিল। সেই সিলটিও ভুয়ো বলে পুলিশের দাবি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, আলিপুরদুয়ার ও ধূপগুড়ি থেকে ৬০১ বস্তা আলু নিয়ে দুটি ট্রাক অসমে যাচ্ছিল। আলিপুরদুয়ায়ের কোনও এলাকা থেকেই বিহারের জাল নথি তৈরি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সম্প্রতি রাজ্যে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় ভিন রাজ্যে আলু রফতানি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। সে কারণেই বিহার থেকে আলু নিয়ে যাওয়ার ভুল নথি তৈরি করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “বিহারের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ফোন করে জাল নথির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যের আলু পাচারের একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে। চক্রে আরও কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
মমতার সভার পথে জখম ২৮
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
বামনগোলার দু’টি গ্রাম থেকে একটি ছোট বাসে চেপে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যাচ্ছিলেন ৪৫ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। মাঝপথে বাসটি উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় যাত্রীদের কারও হাত ভেঙেছে, কারও বা ঘাড়ে লেগেছে। জখম ২৮ জন মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি। মঙ্গলবার মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক এবং জনসভা সেরে মুখ্যমন্ত্রী মালদহ ছেড়ে যাওয়ার পরে, জেলার দুই বিধায়ক তথা নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এবং পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী হাসপাতালে গিয়ে জখমদের দেখে আসেন। জখম কর্মীদের চিকিৎসার খরচ বহন করার আশ্বাসও দেন দুই মন্ত্রীই।
|
বিষ্ণুর এই স্থানক বা দণ্ডায়মান মূর্তিটি পাওয়া গিয়েছে মালদহের গাজলের কোটালহাটি থেকে। বিষ্ণুর পুকুর সংস্কার করতে গিয়ে আড়াই ফুট লম্বা মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে। আপাতত গাজল থানায় রাখা হয়েছে। পরে মালদহের সংগ্রহালয়ে রাখা হবে বলে স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে। পূর্ণ প্রস্ফূটিত পদ্মের উপরে সমপাদ স্থানক মূর্তিটি পাল যুগের বলে অনুমান পুরাতত্ত্ববিদদের। মূর্তির নীচে বিষ্ণুর ডান পায়ের পাশে লক্ষ্মী। বাঁ পায়ের পাশে বীণাপাণি। বিষ্ণুর দুই বাহুর পাশে রয়েছে গজশার্দূল মূর্তি। মাথায় মুকুট। তার উপরে সিংহের মুখ যা কীর্তিমুখ বলে পরিচিত। মাথার দু’পাশে রয়েছে উড়ন্ত বিদ্যাধরেরা। |
রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের উপ-অধিকর্তা অমল রায় বলেন, “কালো পাথরের এই মূর্তিটি নবম-দশম শতকের। পাল যুগের পরিচয় চিহ্নগুলি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সুদীপা রায় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই মূর্তির চার হাতে যে ভাবে পদ্ম, গদা, চক্র ও শঙ্খ রয়েছে, তাতে মূর্তিটি বিষ্ণুর ত্রিবিক্রম রূপ।” |