বিডিওকে মারধর করে তাঁর দফতরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে কালিয়াচক ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি এক কংগ্রেস নেতা ও ১৫ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কালিচায়ক-১ নম্বর ব্লকের ঘটনা। অভিযোগ, সহকারি সভাপতির সেলিম আলির ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি অন্য বিভিন্ন জনের তফসিলি জাতির শংসাপত্র তাঁকে দেওয়ার জন্য দাবি করছিলেন। ওই বিভাগের আধিকারিক তা দিতে অস্বীকার করেন। বিডিও’র নজরে পড়ার পর তিনি ওই ব্যক্তিকে অফিস থেকে বার করে দেন। এর পর সহকারি সভাপতি তাঁর লোকজন নিয়ে বিডিও অফিসে যান। অভিযোগ, বিডিও’র সঙ্গে বচসা শুরু হয় ও তার জেরে পরে বিডিওকে মারধর এবং দফতরে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। তার আগেই অভিযুক্তরা পালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। কালিয়াচক ১ বিডিও দীপ্তার্ক বসু বলেন, “কালিয়াচক থানায় কালিয়াচক ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সেলিম আলি-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” |
হামলার পরে। কালিয়াচক ১ বিডিও অফিসে মনোজ মুখোপাধ্যায়ের ছবি। |
জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার জানান, দফতরে ঢুকে বিডিওকে মারধর, ভাঙচুর করার ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সুপারকে তিনি বলেন। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তদের ধরার জন্য তল্লাশি শুরু করে দিয়েছে। সেলিম আলি বলেন, “ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। তবু বিডিও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে নালিশ করছেন।” বিডিও’র বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন সেলিম আলির ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি যিনি শংসাপত্র আনতে গিয়েছিলেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম চৌধুরী বলেন, “আমাদের দলের নেতার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, “ওই বিডিও শাসক দলের হয়ে কাজ করছিলেন। তফসিলি জাতির শংসাপত্র নিতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া, উন্নয়ন নিয়ে মিটিং না ডাকার অভিযোগে মানুষই বিডিওর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। দলের কেউ এতে যুক্ত নন।” |