অভিযোগের বহর বাড়ছিল। সরেজমিন সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর। তিনি বুধবার গিয়ে দেখেন, সকাল ৯টা থেকে কাজের সময় শুরু হলেও, বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসকই অনুপস্থিত। সভাধিপতির পরিদর্শনে আসার খবর পেয়ে একে একে কাজে যোগ দেন। কাজের এমনই চিত্র ধরা পড়ল খোদ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা সভাধিপতি।
তিনি এ দিন সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন। জরুরী বিভাগ থেকে শুরু শিশু ও প্রসূতি— প্রায় সব ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। বেশির ভাগ জায়গায় কোনও চিকিৎসককে না দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যকে ফোনে ধরেন তিনি। ফোন করতেই সুপার জানান, তিনিও ছুটিতে। বিকাশবাবু বলেন, “পরিষেবা নিয়ে একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ আসছিল। এ দিন বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখি প্রায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসক অনুপস্থিত। এটা মানা মেনে নেওয়া যায় না। সুপারকে বলেছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। গোটা বিষয়টা জেলা সভাপতি ও সিএমওএইচকে জানাব।”
এ দিকে, সভাধিপতিকে হাতের কাছে পেয়ে, বোলপুরের বাসিন্দা মমতাজ বেগম জানান, তিনি তাঁর শিশুকে নিয়ে এখানে এসেছেন। ২ ঘণ্টা কোনও ডাক্তারবাবুকে পাওয়া যায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাসপাতাল সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “সুপার থাকেন না, অভিযোগ সঠিক নয়। সকলে তাঁদের কাজ ঠিক মতো করলে কোনও অসুবিধা হয় না। রোগীরা যাতে ঠিক মতো পরিষেবা পান, তা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” |