ছাদের চাঙর পড়ছে। খসে পড়ছে দেওয়ালের পলেস্তরাও। ছাদ বিপজ্জনক বলে ঘোষণাও করে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে ঢুকলেই চোখে পড়বে দেওয়ালে ঝোলানো একাধিক সতর্কবার্তাবিপজ্জনক ছাদের নীচ দিয়ে হাঁটাচলা করবেন না। সংস্কারের জন্য পাঁচ মাস আগে স্বাস্থ্য দফতরে জরুরি ভিত্তিতে ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা চেয়ে মেলেনি। এ ভাবেই চলছে মালদহের চাঁচল মহকুমা হাসাপাতাল। এলাকার জনপ্রতিনিধি-সহ পঞ্চায়েতের কাছেও সংস্কারের টাকা বরাদ্দের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবেদন করেন।
ওই ভবনে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড থাকায় স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত রোগী-সহ তাঁদের আত্মীয়রা। মহকুমা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য চাঁচলের কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুবও বলেন, “এমন একটি জরুরি বিষয়ে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা উদ্বেগজনক। বিধানসভায় এই বিষয়টি তুলব।” চাঁচলের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস বলেন, “হাসপাতালের ছাদের ঢালাও সংস্কার দ্রুত করা জরুরি। এই জন্য বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।” |
ছবিটি তুলেছেন বাপি মজুমদার।
|
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, চাঁচল হাসপাতাল সম্প্রতি গ্রামীণ থেকে মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। হাসপাতালের সুপারও কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোয় চলছে হাসপাতালের কাজকর্ম। শুধু পরিকাঠামো নয়, মহকুমা হাসপাতালে অনুমোদিত শয্যার সংখ্যা ১০০টি। চিকিৎসক থাকার কথা ২৮ জন। পরিকাঠামো গড়ে না ওঠায় বাড়েনি শয্যার সংখ্যা। মেলেনি চিকিৎসকও। ৫ চিকিৎসককে নিয়েই চলছে ৬৮ শয্যার ওই হাসপাতাল। এতে বাড়ছে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের ঠিক মাঝে রয়েছে জরুরি বিভাগ। যেখানে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বসেন। ফলে রোগীদের পাশাপাশি আতঙ্ক মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয় তাঁদেরকেও। ছাদ-সহ ভবনের সার্বিক সংস্কারের জন্য এক বছর আগে পরিকল্পনা করে তা রাজ্যে পাঠালেও বরাদ্দ মেলেনি। চাঁচল মহকুমা হাসাপাতালের সুপার সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “ছাদের যা হাল তাতে যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে। আমি কাজে যোগ দিয়েই দ্রুত অর্থ বরাদ্দের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি। স্থানীয় সাংসদ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছেও সংস্কারের ব্যবস্থা করার আবেদন করা হয়েছে।” |