টুকরো খবর
ডাক্তার আসেন না, কুষ্ঠ রোগীদের বিক্ষোভ
চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ আছেই। কুষ্ঠরোগীদের ওয়ার্ডের অবস্থাও শোচনীয়। —নিজস্ব চিত্র।
পরিষেবা না পেয়ে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কুষ্ঠ রোগীরা। বুধবার সকালের ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেওয়ার পরে তাঁরা ওয়ার্ডে ফিরে যান। ওই রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে তাঁদের ১৮টি শয্যা রয়েছে। ১০ জন ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁদের দেখতে আসেন না। ক্ষত পরিস্কার করতে হয় নিজেদেরই। কিন্তু ওষুধপত্রও ঠিকঠাক মেলে না। হাসপাতাল সুপারের চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে কুষ্ঠরোগী লক্ষ্মীকান্ত বারিক, নাড়ুগোপাল মুর্মু বলেন, “হাসপাতালের খাবারটুকু ছাড়া কিছুই পাচ্ছি না। চিকিৎসক তো আসেই না, নার্সরাও এসে খোঁজ নেন না। ওয়ার্ডে ঝাঁটও পড়ে না।” বিষ্ণুপুর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার এক পরিচিতের বাবা এখানে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর কাছে এখানকার রোগীদের দুর্দাশার কথা শুনেছি। সুপারকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।” হাসপাতালের সুপার সুভাষচন্দ্র সাহা বলেন, “সম্প্রতি আমি এই দায়িত্ব পেয়েছি। সব বিভাগ এখনও ঘুরে দেখা হয়নি। চিকিৎসকরা ওই ওয়ার্ডে কেন যাচ্ছেন না খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”

হাসপাতালে মৃত ৮ শিশু
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত, ২৪ ঘন্টায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ খবর শুনে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব মলয় দে বুধবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তাঁরা শিশুমৃত্যু ও পরিকাঠামো নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ, সুপার ও অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। হাসাপাতালের সুপার মহম্মহ আবদুর রসিদ বলেন, “যে সব শিশু মারা গিয়েছে, তাদের শেষ মুহূর্তে আনা হয়েছিল। কম ওজন, শ্বাসকষ্ট ও সেপটিসিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৮টি শিশু মারা গিয়েছে। কারও গাফিলতিতে ৮টি শিশু মারা গিয়েছে এ অভিযোগ আমাদের কেউ করেননি।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৪টেয় কালিয়াচকের নাসিমা খাতুনের ৩ দিনের পুত্রের সেপ্টিসেমিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। কিছুক্ষণ পর মালদহের শুকতারা বিবি একটি শিশু পুত্রের জন্ম দেন। এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুটি মারা যায়। এরপর রাত ১২ টার মধ্যে আরও ছয়টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে! হাসপাতালের তিনটি শিশু বিভাগে ১২৭টি বেডে ১৪৬ শিশু রয়েছে।

স্বাস্থ্য শিবির
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বুধবার এক কর্মসূচি হল গোয়ালতোড় কলেজে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় শিবির, এডস্ সচেতনতা শিবির। উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ হরিহর ভৌমিক, জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান প্রমুখ। থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের জন্য ৮১ জন ছাত্রছাত্রীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অন্য দিকে, এডস সচেতনতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথবাবু।

শিশুমৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ এসএসকেএম চত্বরে
এসএসকেএমে অগ্নিদগ্ধ এক শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে বুধবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন তার পরিজনেরা। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ জানায়, মৃত শিশুর নাম মহম্মদ বিলাল আলি। দেড় বছরের ওই শিশুটিকে শুক্রবার দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরিজনেদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের গাফিলতিতে বুধবার বিলালের মৃত্যু হয়। তাঁরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, শিশুটির পরিজনেরা বিক্ষোভ দেখালেও, চিকিৎসকদের গাফিলতির কোনও অভিযোগ তাঁরা হাসপাতালে দায়ের করেননি।

অ্যারোমা থেরাপিতে ডাক্তারির ডিগ্রি নয়
ইদানীং কলকাতা ও জেলা শহরে অ্যারোমা থেরাপির অজস্র প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠেছে। এই ধরনের যে-সব প্রতিষ্ঠান অ্যারোমা থেরাপির প্রশিক্ষণ দিয়ে ডিগ্রি দেয়, তারা আর কোনও ভাবেই ডাক্তারি ডিগ্রি দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই সব সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই নিজের নামের সঙ্গে ডাক্তার লিখে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার রায় দিয়েছে, যাঁরা অ্যারোমা থেরাপি চিকিৎসা করেন, তাঁরা নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবেন না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.