টুকরো খবর
খুনের হুমকি দিয়ে ছিনতাই
রিভলভার দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে গুলি করে খুনের হুমকি দিয়ে বছর বত্রিশের এক যুবকের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা-সহ একটি ব্যাগ কেড়ে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার দুপুরে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুরের ঘটনা। বিক্রম সাহা নামে ওই যুবক দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপার বাসিন্দা। একটি কোম্পানিতে সেলস্ ম্যানের কাজ করেন তিনি। এ দিন বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে পুলিশকে বিক্রম জানান, দুপুর ১টা নাগাদ বেলেঘাটা বাজার থেকে চানাচুর-বিস্কুট বিক্রির কয়েক হাজার টাকা নিয়ে তিনি টাকি রোড দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে বেড়াচাঁপার দিক থেকে মোটরবাইকে চড়ে তিন দুষ্কৃতী বিশ্বনাথপুরের কাছে তাঁর পথ আটকায়। দুষ্কৃতীদের মুখে মাফলার বাঁধা ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক জন তাঁর মাথায় রিভলভার দিয়ে মারে। তাঁর মাথা ফেটে যায়। তার পর দুষ্কৃতীরা ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। তখনই গুলি করার হুমকি দিয়ে ব্যাগ কেড়ে নেয় তারা।

নকল ফেন্সিডিল উদ্ধার হাবরায়
অভিযান চালিয়ে হাবরার জয়গাছি-মাঠপাড়া এলাকা থেকে ৭৯৫ বোতল কাফ সিরাপ উদ্ধার করল পুলিশ। পাওয়া গিয়েছে প্রচুর পরিমাণে কাফ সিরাপ তৈরির কাঁচামালও। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই পাচারকারীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রিজাউল মণ্ডল ও রঞ্জিত হালদার। দু’জনেরই বাড়ি বাদুড়িয়া থানার চণ্ডীপুর এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন দুয়েক আগে মাঠপাড়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেয় ধৃতেরা। বাড়ির মালিককে তারা জানায়, পরিবার নিয়ে থাকবে তারা। কিন্তু পরিবারের কাউকেই না এনে ওই ঘরে গোপনে কাফ সিরাপ তৈরি করছিল তারা। প্রতিটি বোতলে ১০০ এমএল করে কাফসিরাপ থাকার কথা। এক একটি বোতলের দাম ৯০ টাকা। নকলের দাম স্বাভাবিক ভাবেই একটু কম। মঙ্গলবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ডেরায় হানা দিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরে পুলিশ।

বিড়ি শ্রমিকদের ধর্মঘট স্বরূপনগরে
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেছেন স্বরূপনগর ব্লকের কয়েক হাজার বিড়ি শ্রমিক। তাঁদের দাবি, বর্তমান মজুরিতে সংসার চালানো দায়। বার বার বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করছে না মালিক পক্ষ। চার দিন কাজ বন্ধ থাকায় অবশ্য সমস্যায় পড়েছেন বিড়ি শ্রমিকদের একাংশ। ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগরে বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে প্রায় সাত হাজার শ্রমিক যুক্ত। রবিবার শাঁড়াপুল ডাক বাংলো মোড়ে একটি সভা ডাকা হয়েছিল। তাতে মালিক পক্ষও ছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে কর্ম বিরতি। শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে সুশান্ত মিত্র জানান, এলাকায় ৮০ শতাংশ মহিলা ও ২০ শতাংশ পুরুষ বিড়ি বাঁধার সঙ্গে যুক্ত। ১০০০ বিড়ি বাঁধলে ৯০ টাকা পাওয়া যায়। এতে সংসার চালানো দায়। মহিলারা সপ্তাহে গড়ে ৫০০ টাকা ও পুরুষরা সপ্তাহে গড়ে ৭০০ টাকা রোজগার করেন। সুশান্তবাবু বলেন, “আমাদের দাবি ছিল প্রতি হাজার বিড়িতে ১৬০ টাকা মজুরি দিতে হবে।” যদিও মালিক পক্ষের তরফে নাসিরুদ্দিন মণ্ডলের দাবি, “শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০ টাকা মজুরি করার দাবি জানিয়েছিল। ধর্মঘট বেআইনি।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.