বাসের ছাদে চড়ে যাওয়ায় সময় বাস থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। বুধবার সকালে ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের সাতমুখীতে। পুলিশ জানিয়ছে, মৃত যুবকের নাম মঈনুদ্দিন মোল্লা (১৮)। তার বাড়ি কুলতলির মেরিগঞ্জে। গুরুতর আহত অবস্থায় তার এক সঙ্গীকে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানা হয়েছে। বাসচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বাসটিও।
বাসের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর এই ঘটনায় ফের সামনে এসেছে বাসের ছাদে বেআইনি ভাবে যাত্রী পরিবহণের বিষয়টি। এভাবে যাত্রী পরিবহণ নিয়ে বহু যাত্রীই ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, বেশি যাত্রী নেওয়ার জন্য বাসগুলি ছাদেও যাত্রী তোলে। তার ফলে ঘটে দুর্ঘটনাও। যেমন বুধবার মৃত্যু হল এক ছাত্রের। অন্যদিকে বাস মালিকদের বক্তব্য, যাত্রীরা নিজেরাই তাড়তাড়ি গন্তব্যে পৌঁছতে ভিতরে ভিড় থাকলে ছাদে ওঠেন। বারম করলেও শোনেন না। এ ব্যাপারে জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিক চপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাসে ছাদে যাত্রীর পরিবহড় বেআাইনি। বিষয়টি আমি জানতাম না। তবে এখন থেকে পুলিশ এবং আমাদের দফতরের কর্মীরা এ ব্যাপারে নজরদারি চালাবে।”
পুলিশ ও বাসের যাত্রী সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচিয়ামারা হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মঈনুদ্দিন তার বন্ধু শাহনাওয়াজ ও আজিজুল হোসেন সর্দারের সঙ্গে কোচিয়ামারা থেকে ঝড়খালি-জামতলা রুটের ওই বাসে ওঠে। বাসের ভিতরে প্রচণ্ড বিড় থাকায় তারা দু’জনেই চাদে উঠে যায়। সাতমুখীর কাছে রাস্তার বাঁকে দ্রুতগতিতে চলা বাসটি হঠাৎ ব্রেক কষলে ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে মঈনুদ্দিন ও শাহনাওয়াজ। যাত্রীদের অভিযোগ, সেই সময় তাঁরা চিৎকার করে বাসটি থামাতে বললেও চালক কথা শোনেনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দু’জনকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে মনিয়ে এলে চিকিৎসকেরা মঈনুদ্দিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আজিজুলের কথায়, “আমরা তিনজন কলকাতায় ভবানী ভবনে যাচ্ছিলাম। ঠিক ছিল বাসে ক্যানিংয়ে পৌঁছে সেখানে ট্রেন ধরব। ভিতরে ভিড় থাকায় কন্ডাক্টর আমাদের ছাদে উটে যেতে বলে। বাসটা খুব জোরে চলচিল। রাস্তায় এক জায়গায় হঠাৎ ব্রেক কষলে ওরা দু’জন ছিটকে নীচে পড়ে যায়। আমরা চেঁচামেচি করা সত্ত্বেও চালক বাস না থামিয়ে সোজা ক্যানিংয়ে চলে আসে।’’ |