সিপিএম কার্যালয় দখলমুক্ত করলেন তৃণমূলের নেতা
সিপিএমের দলীয় কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই বামেদের দলীয় কার্যালয় ‘দখলমুক্ত’ করে দিলেন তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতি প্রশান্ত রায়। বুধবার সকালে এমনই রাজনৈতিক সৌজন্যের ছবি দেখল অরণ্যশহর।
গত সোমবার পুরভোটের ফল প্রকাশ হলে ঝাড়গ্রামের ১৭টি আসনের মধ্যে ১৬টি দখল করে তৃণমূল। মাত্র ১টি আসনে জয়ী হয় সিপিআই। এরপরই মঙ্গলবার রাতে শহরে সিপিএমের দু’টি এবং সিপিআইয়ের একটি দলীয় কার্যালয় দখলের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিটুর রোড ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়নের একটি কার্যালয় এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের একটি শাখা কার্যালয়ের দেওয়ালে সবুজ রং লেপে ‘টিমসি’ লেখা হয়। সিপিএমের দলীয় পতাকা খুলে সেখানে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কলোনি রোডে সিপিআইয়ের একটি শাখা কার্যালয়ের দেওয়ালেও সবুজ রং লেপে দিয়ে ‘টিএমসি’ লিখে দেওয়া হয়। সেখানেও সিপিআইয়ের দলীয় পতাকা খুলে দিয়ে তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়। বুধবার সকালে বিষয়টি জানতে পারেন শহর বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক প্রদীপ সরকার পুলিশে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, শহর তৃণমূলের নেতাদেরও বিষয়টি জানান। এরপরই এ দিন প্রশান্তবাবু ও দলের কিছু কর্মী মিলে ওই তিনটি কার্যালয়ে গিয়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকাগুলি খুলে নিয়ে আসেন।
দখল। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল সম্পাদক প্রদীপবাবু বলেন, “গণতন্ত্রে জয় পরাজয় আছে। কিন্তু, ভোটের ফল প্রকাশের পরে যেভাবে আমাদের দলীয় কার্যালয়গুলি দখলের চেষ্টা হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এ দিন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক দুর্গেশ মল্লদেব, পুরসভার বিদায়ী দলনেতা আনন্দমোহন পণ্ডা ও শহর সভাপতি প্রশান্ত রায়—তিন জনকেই বিষয়টি জানিয়েছিলাম। প্রশান্তবাবু পদক্ষেপ করায় তাঁকে ধন্যবাদ।” প্রদীপবাবু জানান, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সোমবার রাতে সিপিএমের শহর জোনাল কার্যালয়ে সিপিএমের দলীয় পতাকা খুলে ফেলে দিয়ে তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে প্রশান্তবাবুকে জানানো হলে এক তৃণমূল কর্মী এসে পতাকাটি খুলে নিয়ে যান। ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাছুরডোবায় সিপিএমের একটি শাখা কার্যালয়েও সোমবার রাতে হামলা চালানো হয় বলে প্রদীপবাবুর অভিযোগ।
তৃণমূলের শহর সভাপতি প্রশান্ত রায়ের বক্তব্য, “অন্যের পার্টি অফিস দখল করাটা আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধী। আমি জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের সঙ্গে কথা বলি। তারপর দলীয় কর্মীদের নিয়ে ওই তিনটি বাম কার্যালয় থেকে আমাদের পতাকা খুলে নিয়ে আসি। যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁদের আমি তৃণমূলের কর্মী বা সমর্থক বলে মনে করি না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.