|
|
|
|
জামিন চার রেল আধিকারিকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রেল স্টেশনের স্টল বন্ধ করা নিয়ে ভেন্ডারদের করা মামলায় আদালতের ‘সমনে’ হাজির হয়ে জামিন পেলেন রেলের সিনিয়ার ডিভিশনাল কাস্টমার ম্যানেজার (ডিসিএম)-সহ চার রেল আধিকারিক। বুধবার মেদিনীপুর জেলা আদালত থেকে জামিন পান তাঁরা। অভিযুক্তরা হলেন সিনিয়র ডিসিএম বিবেক কুমার, ডিসিএম পি কে শ্যামল, কমার্সিয়াল সিআই লক্ষ্মণ হেমব্রম ও বুদাই হেমব্রম। তাঁদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে স্টল বন্ধ করা, স্টলের সামগ্রীর লোকসান করা ও ভেন্ডারদের কর্মচ্যুত করার অভিযোগ রয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরেই খড়্গপুর স্টেশনে বড় স্টল, গুমটি ও টলি মিলিয়ে প্রায় ৬২টি খাবারের দোকান রয়েছে। এগুলি রেলের ক্যাটারিং সংস্থা আইআরসিটিসি অনুমোদিত। এত দিন ভালই চলছিল। তবে এ বছর থেকে রেলই সরাসরি ওই দোকানগুলির অনুমোদন দিয়েছে। গত অগস্টে রেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ৪টি স্টলের কোনও বৈধ চুক্তিপত্র নেই। এর জেরে গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর দু’দফায় রেলের ওই চারটি স্টল বন্ধ করে দেন রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের দাবি ছিল, অগস্ট মাসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমার কথা থাকলেও ওই চারটি স্টলের ঠিকাদার তা জমা করেননি।
এ দিকে ওই ঠিকাদার সংস্থার দাবি ছিল, তাঁরা প্রথমে না জেনেই আইআরসিটিসি-র কাছে টাকা জমা করতে যান। পরে রেলের কাছে টাকা জমা করতে হবে জানতে পেরে আলোচনার মাধ্যমে রেলের কাছেই টাকা জমা করেন। সেই টাকা জমার রসিদও তাদের কাছে আছে। এই নিয়ে ওই ঠিকাদার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেন। যদিও রেল তা না শুনেই স্টলগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় বেকার হয়ে যান ৮ ভেন্ডার-সহ মোট ২৪ জন কর্মী। পরে তাঁদের তরফে ভেন্ডার সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপ দত্ত ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রথমে জিআরপি ও পরে মেদিনীপুর আদালতে মামলা করেন। মঙ্গলবার ওই মামলায় হাজির হওয়ার কথা জানায় আদালত। বুধবার আদালতের নির্দেশ মতো হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। আগামী ১৬ জানুয়ারি ফের তাঁদের আদালতে হাজির হতে হবে। মামলাকারী প্রদীপ দত্ত বলেন, “টাকা জমা সত্ত্বেও রেলের আধিকারিকরা জোর করে দোকান বন্ধ করেছেন। নষ্ট হয়েছে দোকানের সামগ্রীও। তাই মামলা করেছিলাম।” এ দিন খড়্গপুর রেলের সিনিয়র ডিসিএম বিবেককুমার জানান, “ওঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে টাকা জমা করতে পারেননি। তাই রেল বোর্ড থেকে স্টল বন্ধ করতে বলায় আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করেছিলাম।” |
|
|
|
|
|