পার্কের এক কোণে অচল ‘বোট’
ন খারাপ কস্তুরী করের। দিন কয়েক আগে পরিবারের সঙ্গে গোপগড় পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন কস্তুরী। ভেবেছিলেন, পার্কে গিয়ে বোটিং করবেন। কিন্তু, গিয়ে জানতে পারলেন, বোট অচল। কলেজ ছাত্রী কস্তুরীর কথায়, “আগে একবার গোপগড় পার্কে গিয়েছিলাম। বোটিং করেছিলাম। খুব মজা হয়েছিল। তাই এ বারও ভেবেছিলাম, পার্কে গিয়ে বোটিং করব। খুব মজা হবে। সব মাটি।”
শুধু গোপগড় পার্ক নয়, গত কয়েক বছর ধরে বোটিং বন্ধ ক্ষুদিরাম পার্ক, গুড়গুড়িপাল পার্কেও। মেরামতের উদ্যোগ নেই। যে পুকুরে বোট চালানো হত, তার জল অপরিষ্কার। দেখভালের অভাবেই এই পরিস্থিতি বলে মেনে নিচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। চলতি মরসুমে গোপগড় পার্ক এবং ক্ষুদিরাম পার্কে বোটিং চালু করার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা। বন দফতরের মেদিনীপুর বিভাগের এডিএফও স্বাগতা দাস বলেন, “মেদিনীপুরের দু’টি পার্কে ফের বোটিং চালু করার চেষ্টা চলছে। কয়েকটি বোট অচল হয়ে রয়েছে। বোটগুলো মেরামত করা হবে।”
শহরের ক্ষুদিরাম পার্কে জলাশয়ের পাশে পড়ে রয়েছে বোট। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বেশ কয়েকটি পার্ক রয়েছে। সদর শহরের আশপাশে গোপগড়, ক্ষুদিরাম পার্কের পাশাপাশি খড়্গপুরের হিজলি, সাঁকরাইলের দুর্গাহুড়িতে বড় পার্ক রয়েছে। চন্দ্রকোনা রোডের পরিমল কানন পার্কটিও বড়। গোয়ালতোড়ে রূপারঘাঘরা, মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া, গুড়গুড়িপালেও পার্ক রয়েছে। পার্কগুলোকে সাজাতে নতুন নতুন পরিকল্পনা করছে বন দফতর। শীত পড়লেই শহর ও শহরতলির প্রতিটি পার্কে ভিড় জমতে শুরু করে। কেউ সপরিবার পিকনিক করতে আসেন, কেউ বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। চড়ুইভাতির আসরে বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন মিলে হইহুল্লোড় চলে। ছুটির দিনে ভিড় আরও বেশি হয়।
এলাকার সার্বিক উন্নয়নও ছিল লক্ষ্যে। বন দফতরের আধিকারিকেরা মনে করেছিলেন, পার্ক তৈরি করলে একদিকে যেমন এলাকার সৌন্দর্য বাড়বে, তেমনই পার্ককে ঘিরে স্থানীয় কিছু মানুষের রুজি-রোজগারের সুযোগ আসবে। হয়েছেও তাই। পার্কের সামনে বিভিন্ন স্টল হয়েছে। কোনও স্টল চায়ের, কোনও স্টল ‘ফাস্টফুডে’র। শীতের মরসুমে পার্কে উপচে পড়ে ভিড়।
পার্কে ঢুকতে গেলেই নির্ধারিত প্রবেশমূল্য দিতে হয়। মূলত, পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই টাকা নেওয়া হয়। এ ছাড়াও ভ্রমনপিপাসুদের বিনোদন ও বিকল্প আয়ের সংস্থান করতে এক সময় এই সব পার্কে বোটিং চালু করা হয়েছিল। সাড়াও মেলে ভাল। বছর তিন-চারেক আগেও বোটিং করতে হল, লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হত। এমন সাড়া মেলার পরও ক্ষুদিরাম পার্ক, গোপগড় পার্কের ৮টি বোটই অচল হয়ে পড়ে থাকায় ক্ষুব্ধ লোকজন। কলেজ পড়ুয়া সৌম্য মাইতি, প্রীতি সরকারদের কথায়, “শহরতলির পার্কে বোটিং থাকলে ভালই হয়। ছুটির দিনে পার্কে গিয়ে সময় কাটানো যায়। এক সময় বোটে চড়ার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হত। আর এখন বোটগুলো অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। কারও নজর নেই।”
তবে, এখনও বোটিং চালু রয়েছে চন্দ্রকোনা রোডের পরিমল কাননে। এই পার্কে সব মিলিয়ে ১১টি বোট রয়েছে। মাথাপিছু খরচ ১০ টাকা। পার্কের এক কর্মী বলছিলেন, “আমাদের এখানে বোটিং কখনও বন্ধ হয়নি। সবে, শীত শুরু হয়েছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ১৫০-২০০ জন পার্কে আসেন। বেশ কয়েকজন বোটে চড়েন। ডিসেম্বর-জানুয়ারির ছুটির দিনে প্রচুর ভিড় হয়। গেল বছর এক দিনে হাজার পাঁচেক লোক পার্কে এসেছিলেন। তখন ভিড় সামলানোই দায়!”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.