নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীতলা |
এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হল মৃতার স্বামী-সহ ৩ জনকে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে চণ্ডীতলার কাপাসহাড়িয়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, শিখা রায় (২২) নামে ধনেখালির বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে মাস, চারেক আগে বিয়ে হয় কাপাসহাড়িয়ার বাসিন্দা কেশব রায়ের। শিখার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, যৌতুক দিয়েই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে ওই তরুণীর উপরে অত্যাচার করা হত। জামাইয়ের সঙ্গে তাঁরই এক আত্মীয়ার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সে কথা জানতে পেরে শিখা প্রতিবাদ করেন। এরপরে অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। মঙ্গলবার বিকেলে শিখার গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। গ্রামবাসীরা বিষয়টি জেনে পুলিশে খবর দেন। অচেতন অবস্থায় শিখাকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মারা যান।
মৃতার পরিবারের তরফে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে চণ্ডীতলা থানায় লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় মৃতার স্বামী, ভাসুর এবং জা-কে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলায় ফাঁস লেগেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঠিক কী কারণে ওই বধূর মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি জানা যাবে। অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি।” বধূটির শ্বশুরবাড়ির লোকজন অবশ্য পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শিখা। |